প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নারী নির্যাতনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যোগীরাজ্যে (Uttar Pradesh)। তেরো বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের (Gang rape) অভিযোগ উঠল কানপুরে (Kanpur)। এখানেই শেষ নয়। মেয়েকে হাসপাতালে ভরতি করবার পর সামনের রাস্তাতেই ট্রাকের ধাক্কায় আকস্মিক মৃত্যু হল নির্যাতিতার বাবার। ধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত গোলু যাদব এক পুলিশ আধিকারিকের ছেলে। অভিযোগ, তাকে গ্রেপ্তার করার পর নির্যাতিতার পরিবারকে শাসিয়েছিল অভিযুক্তের পরিবার। গোটা ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলছে নির্যাতিতার পরিবার।
ঠিক কী ঘটেছে? দু’দিন আগে তিনজন ধর্ষণ করে কানপুরের ওই কিশোরীকে। মঙ্গলবার হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাকে। তার মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় চা খেতে হাসপাতাল থেকে বের হন কিশোরীর বাবা। ঠিক তখনই একটি ট্রাক তাঁকে ধাক্কা মারে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দেখা যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির বাবার অভিযোগ, এটা দুর্ঘটনা নয়। খুন করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। সেই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন তিনি।
একই অভিযোগ মেয়েটির পরিবারের আরেক সদস্যের। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ”অভিযোগ দায়ের করার পরই মূল অভিযুক্তের বড়দাদা এসে আমাদের হুমকি দিয়ে বলে, সাবধান! আমার বাবা একজন সাব ইনস্পেক্টর।” প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত গোলু যাদবের বাবা কনৌজ থানায় কর্মরত।
প্রথমে ধর্ষণ। তারপর নির্যাতিতার বাবার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ একটি টুইট করেছে। সেই টুইটে জানানো হয়েছে, কিশোরীর গণধর্ষণ ও তার বাবার মৃত্যু, দু’টি বিষয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যে ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি শিগগিরি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে গাড়িটির চালককেও যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি বারবার উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর থেকে নয়াদিল্লিকে অনেকে দেশের ‘ধর্ষণ-রাজধানী’ বলা শুরু করেছিল। কিন্তু অনেকেরই মতে, ক্রমে দিল্লিকে পিছনে ফেলে সেই স্থানে যেন পৌঁছে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সেই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিল কানপুরের ঘটনায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.