ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ তিনেক হতে চলল দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৯ জনের মৃত্যুর হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর। কেউ টিকাকরণের দু’-এক দিন পরে, কেউ বা ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই মারা গিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, ভ্যাকসিনই (COVID vaccine) কি এঁদের মৃত্যুর কারণ? নাকি পুরোটাই নেহাত কাকতালীয়? এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে টিকাকরণকে কেন্দ্র করে। বহু স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন না নিয়েও তা নেওয়ার ভুয়ো দাবি করতে দেখা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার আসরে নামল কেন্দ্র। সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই মৃত্যুগুলির সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Ministry) সচিব রাজেশ ভূষণ এবিষয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, করোনা ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাঁর দাবি, ”এখনও পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। প্রতি ১ হাজার ১৫০ জনের মধ্যে মাত্র ১ জনের ক্ষেত্রেই। কেউ মারা যাননি। এর থেকে প্রমাণিত হয় ভ্যাকসিন পুরোপুরি নিরাপদ।”
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে যে ১৯ জনের মৃত্যু সম্পর্কে জানা গিয়েছে, তাঁদের মৃত্যু হল কীভাবে? এবিষয়ে বলতে গিয়ে ভূষণের সাফ কথা, ”এখনও পর্যন্ত টিকা নেওয়ার পরে ১৯ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যেকেরই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তিনজন ডাক্তারকে নিয়ে নিয়ে গড়া কমিটি খতিয়ে দেখেছে তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি। কারও মৃত্যুর সঙ্গেই টিকাকরণের কোনও যোগ মেলেনি।” শিগগিরি ওই সমস্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে দাবি তাঁর। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে যে সব মৃত্যুর দাবি করা হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। এদিকে শুক্রবারই ফাইজার তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের যে আবেদন করেছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.