সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের জেরে সাদা ফেনায় চাদরে মুড়েছে দিল্লির যমুনা নদী। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে সাদা বরফের চাদর। তবে ধর্মীয় আস্থার দিক থেকে ‘প্রবিত্র’ এই নদীতে সম্প্রতি ডুব দিয়েছিলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব। তার ফল পেলেন হাতে-নাতে। ‘পচা’ যমুনায় ডুব দেওয়ার জেরে সারা গায়ে প্রথমে চুলকুনি তার পর শ্বাসকষ্টের জেরে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে।
যমুনা সাফাইয়ের জন্য দিল্লির আপ সরকারকে কেন্দ্রের তরফে ৮৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে বিজেপির অভিযোগ, যমুনা সাফাইয়ের জন্য বরাদ্দ এই টাকায় ব্যপক দুর্নীতি করেছে আম আদমি পার্টির সরকার। এই ঘটনায় প্রতিবাদের পাশাপাশি যমুনা স্নানে গিয়েছিলেন বীরেন্দ্র। উদ্দেশ্য ছিল, মা যমুনা যেন আপ সরকারকে ক্ষমা করেন। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায়, যমুনায় নেমে ডুব দিয়ে স্নান করেছেন বিজেপি সভাপতি। এর পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। প্রথমে সারা গায়ে চুলকুনি ও র্যাশ বের হয় বীরেন্দ্রর। এর পর শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় তাঁর। যারত জেরেই তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির আর এমএল হাসপাতালে। বীরেন্দ্রর শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাঁকে ৩ দিনের ওষুধ দিয়েছেন।
এদিকে যমুনা দূষণের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক বাদানুবাদ। এই ঘটনার জেরে একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে আপ ও বিজেপি। পূর্ব দিল্লির সাংসদ হর্ষ মালহোত্রা কালিন্দী কুঞ্জে যমুনার পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে নদীর বুকে মোটা ফেনার স্তর দেখে বলেন, ”অরবিন্দ কেজরিওয়ালর সরকার কেবলই যমুনা পরিষ্কার রাখা নিয়ে মিথ্যে প্রচার চালায়। যখন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিজে উদ্যোগ নিয়ে যমুনা পরিষ্কার করার পরিকল্পনা করলেন, কেজরি সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেল তাঁকে আটকাতে। নদীকে পরিষ্কার রাখা ওদের কাছে একটা রাজনৈতিক বিষয়। কখনওই সেটা অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয় নয়।”
তাঁর এহেন অভিযোগের জবাবে আপ সরকারের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করে বলা হয়েছে, ‘’বিজেপি কেবলই নোংরা রাজনীতি করতে পারে। আম আদমি পার্টি সরকার যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। অন্যদিকে বিজেপি সরকারই যমুনাকে দূষিত করছে উত্তরপ্রদেশ থেকে নোংরা জল পাঠিয়ে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.