ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা ভালো যাচ্ছে না ভারতীয় দলের হেডকোচ গৌতম গম্ভীরের। মাঠে তাঁর অধীনে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ইতিমধ্যেই কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার মাঠের বাইরে নতুন করে বিপাকে পড়ে গেলেন টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলায় নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত। গম্ভীরের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট কেনাবেচা সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে গাজিয়াবাদের ইন্দ্রপুরমে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কয়েক কোটি টাকা তোলে। কিন্তু, আজও ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাননি ক্রেতারা। ২০১৬ সালে ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং এইচ ইনফ্রাসিটি প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। এই আবাসন প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ও একজন ডিরেক্টর ছিলেন তৎকালীন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর।
তদন্তকারীদের আরও অভিযোগ, ওই প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌতম গম্ভীরের মনমোহনী প্রচারে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন ক্রেতারা। ওই প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা সংস্থাগুলি তাঁর ইমেজকে ব্যবহার করে মানুষকে লোভ দেখিয়েছিলেন। যে কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করেছিলেন গম্ভীরও। তাই প্রতারণার দায় তিনিও অস্বীকার করতে পারেন না। তাছাড়া রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেডে গম্ভীরের প্রায় ৬ কোটি টাকা নিজস্ব বিনিয়োগ ছিল বলেও অভিযোগ। এ ছাড়া রিটার্ন হিসাবে পাওয়া ৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকাও নাকি তিনি পেয়েছেন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০১১ সালেই ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন গম্ভীর। তারপরও কেন সংস্থা থেকে টাকা পেলেন তিনি? প্রশ্ন তুললেন দিল্লির বিশেষ আদালতের বিচারক বিশাল গগনে। গম্ভীরের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সংস্থার সঙ্গে গম্ভীরের কী কী আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারক। এক জন সক্রিয় পদাধিকারী হয়েও গম্ভীর কী ভাবে বিজ্ঞাপনের মুখ হলেন, তারও গ্রহণযোগ্য যুক্তি দিতে বলেছেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.