সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনকর্মী (Sex Worker) ও রূপান্তরকামী সদস্যদের সুরক্ষা ও কল্যাণের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। করোনা আবহে যৌনকর্মী ও এলজিবিটি সদস্যরা যাতে খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সঠিক পরিমাণে পায় তাই এই মামলা দায়ের করে আপ সরকার। তবে তা শুনতে অস্বীকার করে দেয়।
লকডাউনের আবহে বন্ধ অফিস। বন্ধ রয়েছে যৌন পল্লীও। ফলে প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান পেতে দিশেহারা অবস্থা যৌনকর্মী ও রূপান্তরকামী সদস্যদের। তবে তাদের আবেদন শুনতে অস্বীকার করেন বিচারপতি রাজীব সাহাই ও সঙ্গীতা ধিঙ্গরা সেহগাল। কেন এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয় পরে তা আদালতের তরফ থেকে বিস্তৃত ব্যখ্যা দিয়ে জানানো হবে জানা যায়। বাড়িতে থাকলে রূপান্তরকামী সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ি পরিজনেদের কাছে কখনও অসহনীয় হয়ে উঠছে। সারাদিন শুতে হচ্ছে কুকথা। এভাবেই তারা শারীরিক নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। কখনও রাস্তায় বেরিয়ে ত্রাণ নিতে গেলে তাঁদের ত্রাহি ত্রাহি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তথাকথিত ‘স্বাভাবিক’ মানুষের ত্রানের লাইনে পিছনে থাকতে হচ্ছে তাদের। সবার পাওয়া হয়ে গেলে কিছু বেঁচে থাকলে তবেই তারা পাচ্ছেন। এমনই অভিজ্ঞতা এলজিবিটি গোষ্ঠীভুক্ত সদস্যদের ক্ষেত্রে। তবে কয়েকটি সংস্থা এই রূপান্তরকামীদের দিকে সাহায্যে হাত মাঝে মধ্যে বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেটা সংখ্যায় খুবই কম।
একই চিত্র ধরা পড়েছে যৌন পল্লীগুলিতেও। সেখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার লোকের অভাব। কয়েকটি এনজিও ছাড়া যৌন পল্লীগুলিতে কেউই প্রায় ত্রাণ নিয়ে না যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে তাদের জীবন ধারণ পদ্ধতি। অনেক যৌনপল্লীগুলির প্রবেশ ও বাহির পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফলে নিকটস্থ বাজারে যাওয়াও দায় হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।
এমতাবস্থায় তাদের সাহায্যের জন্য আপ সরকার দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে। আইনজীবী অনুরোগ চৌহান যৌনকর্মীদের সহযোগিতার জন্য একটি কমিটি তৈরির পরামর্শ দেন। এমনকি রূপান্তরকামী ও যৌনকর্মীদের সরকারি সহযোগিতার জন্য একটি টোল ফ্রি নাম্বারেরও দাবি করা হয়। তবে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে এই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.