ফাইল ছবি
বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দাবি খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট। সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে এখনই নোটিশ পাঠানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল আদালত। সম্প্রতি আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গান্ধী পরিবারের দুই সদস্যর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিট জমা দিয়ে ইডি আদালতের কাছে আবেদন করে যাতে এই দুই অভিযুক্তকে দ্রুত নোটিস পাঠানো হয়।
ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা ২০০৮ সাল থেকে ছাপা বন্ধ। ২০১৭ সালে পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন চালু হয়। ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিতে ‘নবজীবন’ এবং উর্দুতে ‘কওমি আওয়াজ’-এরও অনলাইন ভার্সন প্রকাশিত হয়। ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে চালু হওয়া ন্যাশনাল হেরাল্ড কংগ্রেসের রাজনৈতিক মতাদর্শে চলে। পত্রিকাটির মালিক এজিএল।
সেই সংস্থার সঙ্গে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ নামে সংস্থার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ঘিরে রাজনীতি এক সময় সরগরম হয়। বেআইনি পথে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি। তদন্তে ওই সংস্থা প্রাক্তন দুই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করে। অধুনা বন্ধ ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সম্পত্তির হাত বদলেই বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে ইডির অভিযোগ। তবে কোনও সন্দেহ নেই ইডির সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর জন্য চাপের তেমনই কংগ্রেসের পক্ষে ছিল বড় ধাক্কা। কিন্তু এবার আদালতের রায়ে কিছুটা হলেও সাময়িক স্বস্তিতে গান্ধী পরিবার।
এদিন আদালত জানায়, সবে চার্জশিট জমা পড়েছে। তার প্রথম শুনানিতেই অভিযুক্তদের নোটিশ পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনি বাধা রয়েছে। বিচারপতি বিশাল গোগনে জানান, আদালত এখনও এতটা নিশ্চিত নয় যে এখুনি অভিযুক্তদের নোটিশ দেওয়ার মতো কারন রয়েছে। চার্জশিটে তদন্তকারি সংস্থার তরফে যে নথি দেওয়া হয়েছে তা অসম্পূর্ণ। ইডি সমস্থ নথি জমা দেওয়ার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে অভিযুক্তদের নোটিশ দেওয়া হবে কিনা। ইডির তরফে দাবি করা হয়, যেসব তথ্য প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে তা স্বচ্ছ। কোনও কিছু লুকনো হয়নি। তখনই বিচারপতি জানান, পেশ করা চার্জশিটে কিছু ভুলভ্রান্তি ধরা পরেছে। তাই এখুনি নোটিশ দেওয়ার সময় আসেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.