ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুৎসিত ভাষায় স্বামীকে আক্রমণ করতেন স্ত্রী। দিনের পর দিন চূড়ান্ত অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতেন তিনি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তি বিচ্ছেদের আবেদন করেন। তা আটকাতে পালটা মামলা করেন স্ত্রী। যদিও স্বামীর পক্ষেই রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “প্রত্যেকের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার রয়েছে।”
অধিকাংশ ক্ষেত্রে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন মহিলারা। যার বিরুদ্ধে দেশে কড়া আইনও রয়েছে। কিন্তু উলটো ঘটনাও যে ঘটে তার উদাহরণ দিল্লি হাই কোর্টের এই মামলা। যদিও বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব এবং বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চে স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। কিন্তু বিচারপতিদের বক্তব্য, যেভাবে স্বামীর উপরে নিষ্ঠুরতা চালাতেন স্ত্রী তা যন্ত্রণাদায়ক। যার প্রমাণও মিলেছে। নিয়মিত মানসিক যন্ত্রণা এবং বেদনার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হত স্বামীকে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারিতে বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, দাম্পত্য কলহের সময় স্বামীর উপর রীতিমতো নিষ্ঠুরতা চালাতেন স্ত্রী। আদালত স্পষ্ট করে দেয়, স্বামীর অভিযোগ প্রমাণিত। স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি অনৈতিক আচরণ করতেন স্ত্রী। স্বামীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করতেন।
বিচারপতিরা বলেন, “যদি উল্লিখিত শব্দগুলি… একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, তবে এটি সেই ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর এবং অপমানজনক। স্বামীর বক্তব্য, যখনই ঝগড়া হত, তখনই স্ত্রী এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হেয় করতেন।” আদালতের পর্যবেক্ষণ, এমন শব্দপ্রয়োগকে নিষ্ঠুরতার শামিল। শুনানি শেষ স্বামীর বিচ্ছেদের আবেদনের পক্ষে রায় দেয় দিল্লি হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.