সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৎকারের জন্য মেয়ের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রামে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজন অ্যাম্বুলেন্সের। কিন্তু জেলা হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হল অ্যাম্বুলেন্স নেই। আর তাই নিরুপায় হয়ে স্ট্রেচারে করেই মেয়ে আলিভা প্রধানের মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধ্য হলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ জুন ওড়িশার কান্ধামাল জেলায়। সম্প্রতি সেটি সামনে এসেছে। পাশাপাশি উসকে দিয়েছে গত বছরের দানা মাঝির ঘটনার স্মৃতিও।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার জেলা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আলিভা প্রধান নামে ওই যুবতী। কিন্তু হাসপাতাল থেকে গ্রাম অনেক দূর। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন মৃত যুবতীর বাবা। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না হওয়ায় হাসপাতালের স্ট্রেচারেই মেয়ের মৃতদেহ চাপিয়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন বাবা। করুণ এই দৃশ্য দেখে অবশ্য সাহায্যে এগিয়ে আসেন স্থানীয় ফুলবানি টাউন থানার পুলিশ। তাঁরাই সরকারি শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে তাতে মৃতদেহটিকে পাঠান।
ঘটনাটি সামনে আসার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কান্ধামালের জেলাশাসক ডঃ ব্রুন্দা ডি। প্রসঙ্গত, দানা মাঝির ঘটনার সময় তিনিই কালাহান্দির জেলাশাসক পদে ছিলেন। ওই ঘটনার পরেই কান্ধামাল জেলায় বদলি করা হয় তাঁকে। এদিকে, এই ঘটনাটির তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কান্ধামাল জেলা গ্রামোন্নয়ন সংস্থার প্রোজেক্ট ডিরেক্টর তুষারকান্ত মোহান্তির হাতে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে ঘটনাটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তিনি। এমনকী মৃত মেয়েটির গ্রামেও গিয়েছেন। তদন্ত প্রসঙ্গে জেলাশাসক জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়বে এবং যে বা যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গতবছর দানা মাঝির ঘটনার পরই ওড়িশা সরকার ‘মহাপ্রয়াণ’ প্রকল্প চালু করেছিল। যেখানে সরকার নিজস্ব খরচে শববাহী গাড়িতে মৃতদেহকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু এই প্রকল্প চালু করার পরও কেন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.