ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার ওড়িশায় সরকার গড়েছে বিজেপি। সেই সরকার পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল মোহনচরণ মাঝির কাঁধে। ওড়িশায় বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন মোহন। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত ২৪ বছর ধরে ওড়িশায় (Odisha) ছিল বিজেডির সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে ছিলেন নবীন পট্টনায়ক। তবে ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেডি। প্রথমবারের জন্য সেরাজ্যে ক্ষমতায় আসে গেরুয়া শিবির (BJP)। ভোটে ব্যাপক সাফল্যের পর থেকে অবশ্য পদ্ম শিবিরের অন্দরেই একাধিক নাম ভাসছিল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আদিবাসী মুখ জুয়াল ওরাম, বিজেপির মুখপাত্র তথা সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সম্বিত পাত্র, দলের জাতীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রাক্তন আমলা গিরিশ মুর্মু- দৌড়ে ছিলেন অনেকেই।
তবে হেভিওয়েটদের পিছনে ফেলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহনচরণ। ৫৩ বছর বয়সি মোহন আদিবাসী মুখ হিসাবে ওড়িশার রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট পরিচিত। কেওনঝড় কেন্দ্র থেকে চারবার বিধায়ক হয়েছেন তিনি। জনসেবা থেকে শুরু করে সাংগঠনিক দক্ষতা- সমস্ত ক্ষেত্রেই বিজেপির স্তম্ভ হিসাবে ধরা যেতে পারে মোহনকে। তাই প্রথমবার সরকার গড়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আদিবাসী মুখ মোহনকেই বেছে নিল বিজেপি।
আরএসএসের একটি স্কুলের গুরুজি হিসাবে জীবন শুরু করেছিলেন মোহন। রাজনীতির কেরিয়ারে তাঁর যাত্রা শুরু হয় গ্রামের সরপঞ্চ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে। বিতর্ক থেকেও শতহস্ত দূরে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। দাপুটে বিরোধী নেতা হিসাবে কেওনঝড়ে দীর্ঘদিন কাজ করেও সেভাবে বিতর্কে জড়ায়নি মোহনের নাম। আরএসএসের অন্যতম সক্রিয় কর্মী হিসাবে অবশ্য লাগাতার কাজ করেছেন গোটা ওড়িশাজুড়ে। নবীন পট্টনায়েকের উত্তরসূরি হিসাবে কেমন কাজ করেন জনপ্রিয় নেতা, সেদিকে নজর থাকবে ওড়িশাবাসীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.