সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে বৃহস্পতিবার ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে খুন করেছে আদিল আহমেদ দার। পুলিশ সূত্রে দাবি, এক বছর আগেই সে জইশ-ই-মহম্মদ নামে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিল। কিন্তু ছেলের এই জঙ্গি যোগের খবর অজানাই ছিল বাবার কাছে। শুক্রবার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে কার্যত বিপর্যস্ত বাবা গুলাম দার সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর আক্ষেপ, “ওর তো দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। জম্মু গিয়েছিল, কিন্তু আর ফিরল না।” আর ফিরবেও না আদিল। আরডিএক্স বোঝাই গাড়ি নিয়ে সেনা কনভয়ে ধাক্কা মেরেছে সে।
পুলওয়ামার অবন্তিপোরায় সেনা কনভয়ে হামলাকারী হিসেবে উঠে এসেছে আদিল হুসেন দার ওরফে ওয়াকাস নামে এক জঙ্গির নাম। ওই হামলার পর জঙ্গি সংগঠনটির তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। পিছনে জইশ-ই-মহম্মদের পতাকা আর সামনে থরে থরে সাজানো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে ওই ভিডিওতে গোটা কাশ্মীরকে ভারত বিরোধী সংগ্রামে যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছে ওয়াকাস। পুলিশ রেকর্ড বলছে, পুলওয়ামা জেলার গুন্ডিবাগে থাকত আদিল। তার দুই ভাই আছে। মাঝপথেই সে স্কুলের লেখাপড়ায় ইতি টেনে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করে। পরে রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে ছেলের কীর্তির কথা জানতে পারেন গুলাম দার।
[ পুলওয়ামার হামলাকারীর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর ছবি ভাইরাল! তুঙ্গে বিতর্ক ]
আদিলের গাড়ি সিআরপিএফ কনভয়ে ধাক্কা মারার পর বিস্ফোরণে কার্যত ধাতব টুকরোয় পরিণত হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আদিলের দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ছেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত বুঝে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার। আর জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের অবন্তিপোরায় ঘটনাস্থলে রক্ত-মাংস ছড়িয়ে বীভৎস দৃশ্য তৈরি হয়। কোনও রকমে গ্যালন গ্যালন জল ঢেলে এলাকা পরিষ্কার করে সেনাবাহিনী। আক্রমণের অব্যবহিত পরেই আদিলের ভিডিও প্রকাশ করেছিল জইশ। যেখানে সে দাবি করেছিল, ভিডিও দেখার সময় সে ‘জন্নত’ পৌঁছে যাবে। কিন্তু ছেলের পরিণতি নিয়ে নিশ্চিত নয় আদিলের পরিবার।
[ লক্ষ্য কৃষকদের মনজয়, এবার সিঙ্গুরে পদযাত্রা বিজেপির ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.