সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় মেট্রো দুর্ঘটনায় আঁচ পৌঁছল দিল্লিতেও। রাজ্যসভায় যখন রেলমন্ত্রককে একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রী, তখন দুর্ঘটনায় দায় কার্যত যাত্রীদের উপরই চাপালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘যান্ত্রিক গোলযোগ হতেই পারে। মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। রেলমন্ত্রী তো আর মেট্রো চালান না। যাত্রী ও কর্তৃপক্ষ উভয়কে সতর্ক থাকতে হবে।’ এদিকে দুর্ঘটনার পর দুটি মেধা রেককেই বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত পুরনো এসি রেকই চলবে শহরের পাতালপথে।
মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যাত্রীমৃত্যুর ঘটনার তোলপাড় চলছে কলকাতায়। মেট্রো কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, দরজার সেন্সর ঠিকমতো কাজ না করার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মেট্রোয় দরজার যাত্রীর হাত আটকে যাওয়ার ঘটনাটি পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে কর্তব্যরত কর্মীদের কেন নজরে পড়ল না? সেই প্রশ্নও উঠেছে। বস্তুত, মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে শেক্সপিয়র সরণি থানায় এফআইআরও করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে পুলিশ। মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন তদন্তকারীরা। রেকর্ড করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা বয়ানও। এমনকী, খোদ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির নেতৃত্বে দুর্ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষও। এই যখন পরিস্থিতি, তখন ফের বেঁফাস মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শহরের মেট্রো পরিষেবা যাত্রীদের অভিযোগে শেষ নেই। এবার যাত্রীমৃত্যুর ঘটনার আতঙ্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্ষোভও আরও বেড়েছে যাত্রীদের। সোমবার রাজ্যসভার রেলের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রী। তাঁর অভিযোগ, রেলে যাত্রীদের নিরাপত্তাকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। কলকাতা মেট্রোর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কেন্দ্রের কাছে আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি তোলেন রাজ্যের শাসকদলের সাংসদ। আর ইস্যুতে তৃণমূলকে পালটা কটাক্ষ করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মানুষের মৃত্যুতেও কি তাঁর কিছু যায় আসে না? মেট্রো দুর্ঘটনা নিয়ে তাঁর মন্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.