সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের রাজনৈতিক নাটকে নয়া মোড়। সোমবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন দলের বিক্ষুব্ধ নেতা শচীন পাইলট। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকে রাজস্থানের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যে দলে ফেরার পথ খুঁজছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছে।
সূত্রের খবর, রাজস্থানে রাজনৈতিক জট কাটাতে বৈঠকে একাধিক শর্ত দিয়েছেন পাইলট। তাঁর ‘ঘর ওয়াপসি’ নির্ভর করছে সেগুলির উপরই। জানা গিয়েছে, মূলত তিনটি দাবি করেছেন পাইলট–এক, তিনি নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন না, কিন্তু তাঁর শিবিরের দু’জন নেতাকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দিতে হবে। এবং সেই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে হবে। দুই, বিক্ষুব্ধদের সমস্ত পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। তিন, যাঁদেরকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া সম্ভব হবে না তাঁদের সাংগঠনিক পদ দিতে হবে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই দাবিগুলি নিয়ে একটি সমন্বয় সাধন কমিটি তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। শচীনের সঙ্গে বৈঠকের পর অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা।
এদিকে, এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর তরফে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও বিশ্লেষকদের মতে, নবীন-প্রবীণের এই দ্বন্দ্ব সহজে মেটার নয়। তবে পাইলট কংগ্রেসে ফিরে গেলে তা বিজেপির জন্য অবশ্যই বড় ধাক্কা হবে। রাজস্থানের আগামী বিধানসভার অধিবেশনের আগে এই তৎপরতা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। এই অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহেলট তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের চেষ্টা করবেন। তার আগে কংগ্রেস শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের অবসানের ইঙ্গিত মিলল। উল্লেখ্য, ঠিক এক মাস আগে শচীন ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক গেহেলট র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জয়পুর ছেড়েছিলেন। পরে শচীনকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.