সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্যে এল গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানানো হত্যাকাণ্ড। খুনের পরও জনসমক্ষে প্রাক্তন স্ত্রীকে প্রায় সাত মাস ‘জীবিত’ রাখেন এক চিকিৎসক। নিখুঁত পরিকল্পনায় সন্দেহের তির ঘুরিয়ে প্রায় ঘটিয়ে ফেলেন ‘আ পারফেক্ট ক্রাইম’। তবে ক্রাইম কখনও পারফেক্ট হয় না, রক্ত ছাপ রেখে যায়। অবশেষে পুলিশের জালে পড়েন অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম ধর্মেন্দ্রপ্রতাপ সিং। পেশায় শল্য চিকিৎসক। গোরক্ষপুর শহরে বেশ নামডাক রয়েছে তাঁর। গত জুন মাসে নেপালের পোখরায় পাহাড় চূড়া থেকে ধাক্কা দিয়ে প্রাক্তন স্ত্রী রাখি শ্রীবাস্তবকে হত্যা করেন তিনি। তারপরই অদ্ভুত পরিকল্পনা করেন ওই চিকিৎসক। প্রায় সাত মাস ধরে স্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে থাকেন তিনি। নেটদুনিয়ায় রাখি সেজে লেখেন, ‘অসমে রয়েছি আমি। বেশ লাগছে।” এদিকে রাখি ফিরে না আসায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুরু হয় তদন্ত। সন্দেহভাজনদের তালিকায় নাম আসে রাখির প্রাক্তন স্বামী ধর্মেন্দ্রপ্রতাপ সিং ও বর্তমান স্বামী মণীশ সিনহার।
[হাসিনাকে উৎখাত করার ছক আইএসআইয়ের, ফাঁস গোপন ফোনালাপ]
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জুনের এক তারিখ দ্বিতীয় স্বামী মণীশ সিনহার সঙ্গে নেপাল ঘুরতে যান রাখি। মণীশ ফিরে এলেও সেখানে থেকে যান তিনি। ফোনের লোকেশন বের করে পুলিশ জানতে পারে রাখি পোখরায় ছিলেন। একইভাবে অভিযুক্তের সেখানে থাকার কথাও জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরই নেপাল যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ-এর একটি দল। স্থানীয় পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে খাদে পাওয়া গিয়েছে এক মহিলার লাশ। মৃতদেহটি রাখির বলেই শনাক্ত করেন তদন্তকারীরা। পরে আটক করা হয় ধর্মেন্দ্রকে। এসটিএফ-এর আইজি অমিতাভ যশ জানান, লাগাতার জেরার মুখে অপরাধের কথা কবুল করেছেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক যে এভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করতে পারে তা জানতে পেরে শোরগোল পড়েছে এলাকায়ও।
[লম্বা ইনিংস খেলবে শীত, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.