সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই খারাপ হচ্ছে বিহারের (Bihar) করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি। গোটা দেশেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে রাজ্যগুলি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ব্যতিক্রম নয় বিহারও। পরিস্থিতি কতটা খারাপ তা বোঝাতে বিহারের বিজেপি (BJP) সভাপতি সঞ্জয় জওসওয়ালের দাবি, পাটনায় তাঁর ঘনিষ্ঠ যে ডাক্তার বন্ধুরা রয়েছেন তাঁরাও কেউ তাঁর ফোন ধরছেন না।
প্রসঙ্গত, বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় জওসওয়াল নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি মনে করছেন, মাস্ক না পরা কিংবা সামাজিক দূরত্ব না মানাই শেষ পর্যন্ত করোনার হাত থেকে বাঁচার সেরা উপায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অধিকাংশ বিহারবাসীই মারণ ভাইরাসের ভয়াবহ এই বিপদটিকে বুঝতে চাইছেন না। এই উদাসীনতাই এখন গলায় ফাঁস হয়ে বসছে। তাঁর নিজের চেনা বহু মানুষ গত ২ সপ্তাহে করোনার থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানান জওসওয়াল।
পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয়েছে সেকথা বলতে গিয়ে ফেসবুকে করা এক পোস্টে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, আমার এক ঘনিষ্ঠ ডাক্তার বন্ধু যে পাটনায় রয়েছে সে আমার ফোনই ধরছে না। কেননা ও কোনও রকম সাহায্যই করতে পারবে না। গত দু’সপ্তাহের মধ্যেই কত চেনা মানুষকে যে হারালাম।’’
ওই দীর্ঘ পোস্টে জয়সওয়াল জানিয়েছেন, কীভাবে নিজের সংসদ কেন্দ্র চম্পারণে তাঁরা অতিরিক্ত বেড ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ সম্প্রতি আমরা চম্পারণে অতিরিক্ত বেড ও অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করেছিলাম কোভিড রোগীদের বাঁচানোর জন্য। কিন্তু তাও এখন কম পড়ে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বেতিয়ায় বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯০ করতে।’’ রাতারাতি সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়াতেই যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে তা জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁরা লড়াই ছাড়ছেন না। আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কী করে পরিস্থিতি শুধরানো যায়।
প্রসঙ্গত, দেশের মোট করোনা সংক্রমণের ৭৮.১৮ শতাংশই দেশের ১১টি রাজ্যের বাসিন্দা। এই রাজ্যগুলির অন্যতম বিহার। সেখানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষের কাছাকাছি। যা মাসের শুরুর সংখ্যার থেকে প্রায় ৫০ গুণ বেশি!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.