ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদে বহাল হওয়ার আগেই ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ভুয়ো শংসাপত্রে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ট্রেনি IAS পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে। যদিও MBBS কোর্সে ভর্তির সময় কলেজে যে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ জমা দেন পূজা, সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ তথা স্বাভাবিক জানান চিকিৎসক। দৃষ্টি বা শ্রবণশক্তির অক্ষমতা নেই বলেও জানানো হয় ওই শংসাপত্রে। এই ঘটনায় নতুন করে অস্বস্তিতে শিক্ষানবিশ IAS।
২০০৭ সালে কাশিবাই নাভলে মেডিক্যাল কলেজে MBBS কোর্সে ভর্তির হন পূজা। তখনই নিয়ম মতো চিকিৎসকের শংসাপত্র জমা দিতে হয় তাঁকে। সেই সার্টিফিকেটে বলা হয়, “তাঁর এমন কোনও রোগের ইতিহাস নেই যা তাঁকে পেশাদার কোর্সে করতে বাধা দিতে পারে। এছাড়াও ক্লিনিকাল পরীক্ষায় প্রমাণিত যে তিনি কোর্সটি করার জন্য মেডিক্যালি উপযুক্ত।” ওই মেডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর ডাঃ অরবিন্দ ভোরে বলেন, শারীরিক বা মানসিক কোনও ধরনের অক্ষমতার কথা ছিল না ওই শংসাপত্রে।
যদিও UPSC কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের হলফনামায় মহারাষ্ট্র ক্যাডারের ২০২ ব্যাচের ট্রেনি আইএএস নিজেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বলে দাবি করেছেন। যদিও পর পর ছ’বার এই সংক্রান্ত মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য UPSC কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডাকলেও তিনি হাজিরা দেননি। পরে পূজা বেসরকারি ক্লিনিকের MRI রিপোর্ট জমা দেন। আট মাস পর রহস্যজনকভাবে ওই সার্টিফিকেটই গ্রহণ করা হয়।
ট্রেনি IAS পূজার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠলেও সম্প্রতি তিনি দাবি করেন, দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাঁকে নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই অবশ্য শিক্ষানবিশ আমলার লালবাতি লাগানো বিতর্কিত সেই বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুনের ট্র্যাফিক পুলিশ। কৃষককে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় পূজার মাকে নোটিস পাঠিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিপাকে খেদকর পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.