সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA বিরোধিতায় বক্তব্য পেশ করে ফের গ্রেপ্তার উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খান। তবে তাঁর গ্রেপ্তারি ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। কাফিল খানের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হওয়ার ৪০ দিন পর কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন। পথ দেখিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। গত ডিসেম্বরে ডা: কাফিল খান আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আন্দোলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে CAA বিরোধী বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উসকানিমূলক মন্তব্য করেন, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় গত ১৩ ডিসেম্বের।
সম্প্রতি শাহিনবাগের আদলে মুম্বইতেও CAA বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছেন মহিলারা। সেই মুম্বইবাগের আন্দোলনে যোগ দিতে বুধবার সেখানে যান ডা: কাফিল খান। বৃহস্পতিবার তাঁর কর্মসূচি ছিল। কিন্তু তার আগে মুম্বই থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন কাফিল খানকে গ্রেপ্তার করতে এতদিন সময় লাগল পুলিশের? এফআইআর দায়ের করার পর প্রায় ৪০ দিন কি তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল পুলিশ?
২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৬৩ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনা তোলপাড়া ফেলেছিল গোটা দেশে। তাতে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিআরডি-র শিশু চিকিৎসক ডা. কাফিল খানকে। অথচ তিনিই শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। তা উপেক্ষা করে জেলবন্দি করা হয় ওই চিকিৎসককে। যোগী প্রশাসনের এই পদক্ষেপও বেশ সমালোচিত হয়েছিল। শেষপর্যন্ত যথাযথ প্রমাণের অভাবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে মুক্ত করা হয়। কিন্তু মাস চারেক পর ফের অন্য অভিযোগে কারাবন্দি হলেন ডাক্তার কাফিল খান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.