সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজনীতি এবং ধর্ম। দু’টিকে আলাদা রাখাই দস্তুর। যদিও সাম্প্রতিক অতীতে সব মিলেমিশে একাকার হওয়ার জোগাড় হয়েছে। ধর্ম এবং রাজনীতির এই ‘মেলবন্ধন’ ভাঙার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়ে দিল, ধর্মের নামে রাজনীতি রুখে দেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম সংবিধানে নেই।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যদি কোনও সংগঠনের সঙ্গে ধর্মের যোগাযোগ থেকেও থাকে, তাতেও তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায় না। এই ধরনের কোনও নিয়ম সংবিধানে নেই। তবে একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ২০০৫ সালের পর ধর্মের সঙ্গে যোগ আছে এমন কোনও রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন কমিশন করেনি। কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী কোনও দলকে নথিভুক্ত হতে গেলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয় সংহতি এবং গণতন্ত্রের আদর্শ মেনে চলতে হবে। নাহলে কোনও দলকে নথিভুক্ত করা হবে না।
উল্লেখ্য, কোনও রাজনৈতিক দল নাম বা প্রতীকের মাধ্যমে কোনও ধর্মীয় পরিচয় ব্যবহার করলে, সেই রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। এই দাবিতে মামলা দায়ের করেন উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৈয়দ ওয়াসিম রিজভি (Wasim Rizvi)। বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই নেতা দাবি করেছেন, অনেক রাজনৈতিক দল নাম ও প্রতীকে ধর্মের পরিচয় ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যা কিনা রেপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অ্যাক্টের ১২৩ নম্বর ধারার বিরোধী।
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী তথা বিজেপি (BJP) নেতা গৌরব ভাটিয়া দাবি করেছেন,”দু’টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল ‘দ্য ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ’ এবং ‘দ্য অল ইন্ডিয়া মজলিসি ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (AIMIM) নিজেদের নামেই মুসলিম ধর্মের পরিচয় বহণ করছে। এছাড়াও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতীকেও ধর্মীয় নিশান ব্যবহার করা হচ্ছে।” এই দলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই বড় দলগুলির পাশাপাশি হিন্দু একতা পার্টি, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা সহজধারী শিখ পার্টির মতো দলও আছে এই তালিকায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন শীর্ষ আদালতে এই আরজির বিরোধিতা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.