সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে, আকাশছোঁয়া হচ্ছে সর্ষের তেল-সহ অন্যান্য রান্নার তেলের মূল্য। মাথায় হাত পড়ছে মধ্যবিত্তের। বিরোধীরা ক্রমাগত সমালোচনায় এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোজ্য তেলের মূল্য, উৎপাদন ও আমদানির উপর দৈনিক ভিত্তিতে নজর রাখা হবে। যার ফলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রল-ডিজেলের মূল্য (Petrol-Diesel Price Hike)। একাধিক শহরে একশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে জ্বালানির দাম। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্ষের তেলের মূল্যও। গত এক বছরে ২০-৪৮ শতাংশ বেড়েছে রান্নার তেলের (Edible oil) দাম। বর্তমানে দু’শো টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে রান্নার তেল। তেলের ঝাঁজে নাজেহাল আমজনতা। আর সেই কারণেই এবার বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়, তাই মজুতদারির উপর নজর রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, সরকার প্রথমে অশোধিত ও শোধিত ভোজ্য তেলের আমদানির উপর শুল্ক কমিয়েছিল। কিন্তু তাতেও দাম কমেনি। বরং মূল্য এই হারে বাড়লে উৎসবের মরশুমে তা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশে যে পরিমাণ ভোজ্য তেল ব্যবহার হয়, তার শতকরা ৬০ ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় বলে দাবি কেন্দ্রের। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, আইনে সংশোধন করে চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি সবজির মতো ভোজ্য তেলকেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কেন্দ্র। আর তাতেই লাভবান হচ্ছে মোদি ঘনিষ্ঠ ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলি।
খাদ্য সচিবের নেতৃত্বে কৃষিজ পণ্যে নজরদারির জন্য গঠিত হয়েছে একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি। যা কৃষিজ পণ্যের দাম এবং জোগান এবং মজুতের উপর নজর রাখবে। এই কমিটিকেই প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.