Advertisement
Advertisement
Election Commission

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা, ভুয়ো ভোটারের তালিকা বানাবে কমিশন

ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকেই মান্যতা দিল কমিশন।

Election Commission order to make list of fake voters

প্রতীকী ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:March 5, 2025 12:35 pm
  • Updated:March 5, 2025 12:35 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপ দিতেই আরও এক দফা নির্দেশ জারি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভূতুড়ে ভোটার সমস্যার সমাধানে ব্লক থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলে ৩১ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ফলে পরপর দু’দিন কমিশনের পদক্ষেপ ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তার মধ্যেই দেশের সব মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিক-সহ নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলির সমস্যার কথা শুনতে বলা হয়েছে। ওই সমস্যা শুনে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। মঙ্গলবার দিল্লিতে আইআইআইডিইএম-এর দপ্তরে দু’দিনের বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানেই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন জ্ঞানেশ। ওই বৈঠকে তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন। 

Advertisement

কমিশনের তরফে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির কোনও সমস্যা থাকলে নিয়মিত বৈঠক করে তা মেটানোর চেষ্টা করতে হবে সিইও, ডিইও-দের। ৩১ মার্চের মধ্যে তা নিয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে কমিশনের কাছে। ভুয়া ভোটার, একই নম্বরের একাধিক সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে অভিযোগ উঠেছে দেশে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রবিবার নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ব্যাখ্যা দেয় যে, অনেক ক্ষেত্রেই এপিক নম্বর এক হলেও ভোটকেন্দ্র এবং বিধানসভা কেন্দ্র আলাদা হয়। এপিক কার্ডে যে কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, শুধু সেখানেই ভোট দেওয়া যাবে। অন্য কোথাও নয়।

জ্ঞানেশ মঙ্গলবারের বৈঠকে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানো নিয়েও কিছু বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সি প্রত্যেক নাগরিক যাতে ভোট দিতে পারেন, তা সিইও, ডিইও-সহ কমিশনের আধিকারিকদের নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, দেখতে হবে কমিশনের কোনও আধিকারিককে যাতে কেউ ভয় দেখাতে না পারেন। প্রত্যেক বুথে ৮০০ থেকে ১,২০০ ভোটার, ভোটারদের বাসস্থানের ২ কিলোমিটারের মধ্যে বুথ রাখাও নিশ্চিত করতে হবে আধিকারিকদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement