প্রতীকী ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা, ভোটারদের সুবিধার্থে ভোটার স্লিপ ও বুথ স্তরের অফিসারদের দায়িত্ব স্পষ্ট করার পাশাপাশি কমিশনের তরফে তাঁদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, একাধিক ব্যক্তির কাছে একই নম্বরের সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের সন্ধান পাওয়া। সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হল কমিশন। তাদের দাবি, সেই সমস্যার সমাধান পথ তারা পেয়ে গিয়েছে! কী বলছে নির্বাচন কমিশন? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এবার থেকে যে ভোটারদের কাছে একই এপিক নম্বর বিশিষ্ট ভোটার কার্ড থাকবে, তাঁদের নতুন নম্বর প্রদান করার পাশাপাশি নতুন ভোটার কার্ডও দেওয়া হবে।
ব্যক্তি আলাদা, ভোটার আলাদা, স্থান আলাদা। তা সত্ত্বেও দু’জন বা তারও বেশি ভোটদাতা তথা নাগরিকের ভোটার কার্ডের একই নম্বর (এপিক নম্বর)! স্বচ্ছ ভোটার তালিকা নিয়ে প্রথম সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকায় বহু ভুয়া ভোটার রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগ ছিল, অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম বাংলার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। আবার এক ব্যক্তির একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল একই নম্বরের ভোটার কার্ড একাধিক ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোটের পর একই অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই দুই রাজ্যের ভোটের আগে আচমকাই বিভিন্ন এলাকায় ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। যা কখনই সম্ভব নয়। মমতার অভিযোগের পর নিজ নিজ এলাকায় ভুয়া ভোটার চিহ্নিত করতে নামেন দলের নেতা-কর্মীরা। বহু ভুয়া ভোটারের সন্ধান মেলে। দলের তরফে সংসদীয় প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে অভিযোগও জানিয়ে আসে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। মনে করা হচ্ছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে কমিশনের এটাই ছিল প্রথম পদক্ষেপ।
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটার কার্ডের ইউনিক নম্বর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হলে কমিশন। ২০ বছর আগের সমস্যা সমাধানে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানান হয়েছে, দেশের ৯৯ কোটি ভোটারের কার্ড খতিয়ে দেখা হবে। এই কাজ করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসার। দেশের ৪,১২৩ টি বিধানসভা ও সাড়ে ১০ লক্ষ ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের ভোটার কার্ড পরীক্ষা করা হবে। কমিশনের কর্মীরা প্রয়োজনে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন। এবং একই নম্বরের ভোটার কার্ড যদি কোনও বিধানসভা বা বুথে একাধিক থেকে থাকে তা সংশোধন করে নতুন নম্বর দেওয়া হবে। যদিও কমিশনের দাবি, একই এপিক নম্বর রয়েছে, কিন্তু ভোটার কার্ড আলাদা, এমন ভোটারের সংখ্যা খুবই কম। গড় হিসাব দেখলে, চারটি ভোটকেন্দ্রে নাকি এমন একজনকেই পাওয়া যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.