ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে অপ্রত্যাশিত ঘটনা রাজস্থানের যোধপুরে। দেচু থানার অন্তর্গত এলাকায় ঘরের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল পাকিস্তান থেকে আগত ১১ জন হিন্দু শরণার্থীর (Pak Refugees)। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাড়ির পাশের জমি থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গতের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। তবে পরিবারের এক সদস্য রাতে বাড়িতে না থাকায় তিনি বেঁচে গিয়েছেন। জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক থেকে এই দুর্ঘটনা বলে ধারণা পুলিশের। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে ২০১২ সালে রাজস্থানে এসেছিলেন ওই হিন্দু পরিবারটি। লড়তা গ্রামে বসবাস করছিলেন। সকলেই চাষের কাজে যুক্ত ছিলেন। এদেশে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ চলছিল। তা অসম্পূর্ণ রেখেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন একে একে ১১ জন সদস্য। যদিও ওই রাতে পরিবারের একজন বাড়ির বাইরে ছিলেন। তাই তিনি বেঁচে গিয়েছেন। সকালে ঘটনাস্থলে যান দেচু থানার পুলিশ অফিসার হনুমান রাম। বাড়ির আশেপাশে বিষাক্ত গ্যাসের (Poisonous Gas) গন্ধ পান তিনি। তাতে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, জমিতে দেওয়া কীটনাশক কোনওভাবে বিষাক্ত গ্যাসের আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার প্রভাবেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাড়ির সদস্যদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। এঁদের মধ্যে এক তরুণী রাখি উপলক্ষে এই গ্রামে এসেছিলেন। তারপর তিনি থেকে যান। শনিবারের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। আবার গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বাইরে থেকে পরিবারের এই তরুণী সদস্যই নাকি অন্যদের বিষ খাইয়ে খুন করেছেন। তারপর তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। ফলে খুন নাকি নিছকই গ্যাসের প্রভাবে মৃত্যু, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলেই সবটা স্পষ্ট হবে বলে আশা পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.