ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার পর গোটা দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। দোষীদের খুঁজে বের করে চরম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সবাই। কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি পুলিশ কেন হিংসা থামানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধীরা। এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মামলায়ও দায়ের হয়েছে দিল্লির আদালতে। এই পরিস্থিতিতে অশান্তির এই ঘটনার জন্য নাম না করে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তীব্র সমালোচনা করা হল শিব সেনার মুখপাত্র সামনায়। রীতিমতো যমরাজ বলে কটাক্ষ করা হল।
একসময়ে বিজেপির জোট শরিক থাকা দলের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘দিল্লির অশান্তির ছবিগুলি দেখলেই মনে আঘাত লাগছে। বর্বরতা, নৃশংসতা ও মৃত্যুর এই মিছিল দেখলে যমরাজ (god of death)-ও নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করতেন। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক নিষ্পাপ শিশু এই অশান্তির ফলে অনাথ হয়ে পড়েছে। অনাথদের নতুন পৃথিবী তৈরি করেছি আমরা। মুদাসসর খানের ছোট্ট শিশুর যে ছবি গোটা পৃথিবীজুড়ে প্রকাশ পেয়েছে, তা অন্তত মর্মান্তিক।’
তাদের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দিল্লিতে হিংসার জন্য যেমন প্রচুর শিশু অনাথ হয়েছে তেমনি অসময়ের বৃষ্টিতে হওয়া বন্যার ফলে অনাথ হয়েছে মহারাষ্ট্রের শিশুরাও। প্রাকৃতিক বিপযর্য়ের ক্ষেত্রে মানুষের কিছু করার না থাকলেও ধর্মের হানাহানি আটকানোর জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি। আজকের বিশ্বে সবাই যখন হিন্দুত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু-মুসিলম এবং খ্রিশ্চান-মুসলিম নিয়ে লড়াই করছে। তখন দরকারের সময় কোনও ভগবানকেই মানুষের হয়ে দৌড়তে দেখা যায়নি। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারও তার দরজা বন্ধ রেখেছিল। বিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস এডিসনও কোনও ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু, আজকে বিজ্ঞান ও তাঁর আবিষ্কারের জন্য আজ সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ধর্মের থেকেও বিদ্যুৎ তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম ভালকিছু তো দূরের কথা একটা আশ্রয় পর্যন্ত দিতে পারে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.