চার মাস পর জামিন, মুক্ত ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার ধর্ষকদের কবে ফাঁসি হবে তা নিয়ে এখনও টানাপোড়েন চলছে। এর মাঝেই জামিন পেল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ। সোমবার দুপুরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ও প্রাক্তন ওই বিজেপি সাংসদকে জামিন দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।

Allahabad High Court grants bail to Former Union Minister and BJP leader Swami Chinmayanand in the alleged rape case of a law student. pic.twitter.com/MiQTXrrs5L

Advertisement

— ANI UP (@ANINewsUP) February 3, 2020

আরও পড়ুন:

• ‘অনেক কষ্ট পেয়েছে, দেখবেন’, ত্রিপুরার আশ্রমে স্ত্রীর জন্য প্রার্থনা দিলীপের, পুজো দিলেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে
• ‘বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে’, হুমকি ইমেল ঘিরে আতঙ্ক পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে

গত বছর আগস্ট মাসের প্রথমে আইনের এক ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের শাহাজানপুরে অবস্থিত প্রাক্তন এই বিজেপি নেতার মালিকাধীন আইন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন ওই যুবতী। সেই সুযোগে মেয়েটিকে জোর করে চিন্ময়ানন্দ ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। প্রথমে চিন্ময়ানন্দের ভয়ে ওই যুবতীটি থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি। কিন্তু, বিষয়টি লাগামছাড়া হয়ে গেলে চিন্ময়ানন্দের নামে স্থানীয় থানায় ধর্ষণের FIR দায়ের করেন। পাশাপাশি কারও নাম না করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগ জানান। আর এরপরই নিখোঁজ হয়ে যান।

[আরও পড়ুন: ‘দৃশ্যম’-এর বাস্তব ছবি! পরকীয়ায় বাধা পেয়ে প্রেমিকার স্বামীকে খুনের পর দেহ লোপাট ]

এদিকে মেয়ে ঘরে না ফেরায় পুলিশের কাছে গিয়ে চিন্ময়ানন্দের নামে অভিযোগ দায়ের করেন যুবতীটির বাবা। তাঁর এই অভিযোগ ও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা যুবতীর ভিডিওটি দেখে বিষয়টির নিন্দা করেন সবাই। নড়চড়ে বসে উত্তরপ্রদেশে প্রশাসন। আর গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তারপর থেকে এতদিন জেলেই ছিল সে।

[আরও পড়ুন: এলআইসির কত শতাংশ শেয়ার বিক্রি করছে কেন্দ্র? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য ]

অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করার অভিযোগ জেলে পাঠানো হয় ওই নির্যাতিতাকে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় যুবতীটির তিন বন্ধুও। যুবতীটিকে দিয়ে চিন্ময়ানন্দের শরীর ম্যাসাজ করানোর কিছু ভিডিও প্রকাশ্যে আনার হুমকি দিয়ে তারা টাকা চাইছিল বলে অভিযোগ। যদিও একথা অস্বীকার করেছেন ওই যুবতী ও তাঁর বন্ধুরা। উলটে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে চিন্ময়ানন্দ তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন।