সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রশ্নে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নিরাপত্তা সংক্রান্ত খরচ জানান সম্ভবপর নয়৷ আবেদনকারী দীপক জুনেজাকে স্পষ্ট ভাষায় তা জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন৷ ২০১৪-র ৫ জুলাই তথ্যের অধিকার আইন(আরটিআই) প্রয়োগ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তা সংক্রান্ত খরচ জানতে চেয়েছিলেন এই ব্যক্তি৷ যা নাকচ করল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন৷
[লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার সম্ভাবনা ফের উসকে দিলেন মোদি]
কেবল অমিত শাহের নিরাপত্তার খরচ সংক্রান্ত তথ্যই জানতে চাননি দীপক জুনেজা৷ কোন কোন ব্যক্তি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান সেই তালিকা চেয়েও তিনি আবেদন করেন তথ্য কমিশনে৷ কিন্তু কমিশন তা না জানাতে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি৷ প্রশ্ন তোলেন, ২০১৭-তে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অমিত শাহ৷ কিন্তু কোনও সাংবিধানিক পদে না থাকা সত্ত্বেও কেন ২০১৪ থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিয়ে আসছে কেন্দ্র? প্রশ্ন তোলেন জুনেজা। তবে এই ইস্যুতে কমিশনের কোর্টেই বল ঠেলে দেন বিচারপতি বিভু ভাকরু৷
[পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব পাচ্ছে ডানকুনি, তৈরি হচ্ছে বিশেষ করিডোর]
প্রায় চারবছর পর এই বিষয়ে মুখ খোলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ জানায়, তথ্যের অধিকার আইনের ৮(১)(জি) ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তির জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে বা প্রাণহানি ঘটাতে পারে বা শারীরিক আঘাত হানতে পারে এমন তথ্য গোপন রাখাটাই দস্তুর। ফলে, এক্ষেত্রেও অমিত শাহের মতো ভিভিআইপি ব্যক্তির নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না৷ তা গোপনই রাখা হবে৷ তথ্য কমিশনের প্রধান যশোবর্ধন আজাদ জানান, যে ভিভিআইপি ব্যক্তিদের উপরে প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের জন্যই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়৷ গোপনীয়তার কারণে সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা যায় না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.