সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাইজার–বায়োএনটেকের পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ((Oxford-AstraZeneca)) ভ্যাকসিনকেও ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রিটেন (United Kingdom)। ৪ জানুয়ারি থেকে এই প্রতিষেধকে ব্যবহার শুরু হবে সে দেশে। ভারতেও ইতিমধ্যে জরুরিভিত্তিতে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute)। তাঁরাই ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’ তৈরি করছে। এছাড়া ভারত বায়োটেক তাঁদের করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) ‘কোভ্যাক্সিন’–এর ছাড়পত্রের জন্যও আবেদন জানিয়েছিল। এছাড়া জমা পড়েছিল ফাইজারের আবেদনও। আর এই সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখতেই বুধবার বৈঠকে বসেছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়ার (Drug Controller of India) সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্রুপ। কিন্তু এদিনও কোনও সিদ্ধান্ত নিল না বিশেষজ্ঞদের ওই কমিটি।
জানা গিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি, শুক্রবার ফের একবার বৈঠকে বসবে বিশেষজ্ঞদের এই কমিটি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিনও বৈঠকে তিনটি সংস্থার তরফে নতুন করে পেশ করা রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়। তবে ফাইজারের তরফ থেকে অবশ্য আরও কিছুটা সময়ও চাওয়া হয়। অন্যদিকে, সেরাম এবং ভারত বায়োটেকের দেওয়া অতিরিক্ত তথ্যও এদিন খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পরে ঠিক হয় শুক্রবার আবারও বৈঠকে বসবে সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্রুপ।
Further time was requested on behalf of Pfizer. The additional data & information presented by SII & Bharat Biotech Pvt. Ltd. was perused & analysed by SEC. The analysis of the additional data & information is going on. SEC will convene again on January 1: Govt of India https://t.co/r36VGx1KXl
— ANI (@ANI) December 30, 2020
এই কমিটির ছাড়পত্রের পরেই তা চলে যাবে ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়ার কাছে। তারাই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন। তারপরই শুরু হয়ে যাবে টিকার ব্যবহার। সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, এখনই কোভিশিল্ড টিকার প্রায় পাঁচ কোটি ডোজ তৈরি রয়েছে। আগামী বছর মার্চের মধ্যে ১০ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে যাবে। করোনার টিকার যে বিপুল উত্পাদন হবে তার সিংহভাগই থাকবে দেশের জন্য। কম দামে টিকা বিক্রি করা হবে সরকারকে। তবে এদিন বিশ্বে প্রথম ব্রিটেনেই অক্সফোর্ডের টিকায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এই টিকার দু’টি ডোজ দেওয়া হবে ৪ সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহ ব্যবধানের মধ্যে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় এই টিকার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত ঘটনা ঘটেনি। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর্যন্ত কোনও স্বেচ্ছাসেবককে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়নি। বরং করোনা রুখতে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে এই টিকা। সবদিক বিচার করে তাই এই সম্ভাব্য প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.