সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এবার রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর দাবি, কৃষকদের হিংসাত্মক আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছেন রাহুল। সাধারণতন্ত্র দিবসের হিংসার পর শান্তিস্থাপনের কথা না বলে রাহুল যে ভাষায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তা আসলে ভারতের মানুষের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’। স্মৃতি বলছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি আসলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চাইছেনই না।
সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে অশান্তি ও লালকেল্লা কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে গতকাল একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন ঐতিহ্যের লালকেল্লায় ওভাবে বিক্ষোভকারীদের ঢুকতে দেওয়া হল? পাশাপাশি কেন্দ্রকে বার্তা দিয়েছিলেন, “কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সীমানা থেকে এক ইঞ্চিও নড়বেন না কৃষকরা। আমার তো চিন্তা হচ্ছে, এই বিক্ষোভ না গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা চাই না, এই বিক্ষোভ দেশের অন্য প্রান্তেও ছড়াক। এই পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হল, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করে তা ডাস্টবিনে ফেলে দিন।” এরপর এক টুইটেও সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। বলে দেন,”গাজিপুরে পুলিশ মোতায়েন করে, সিঙ্ঘুতে পাথর ফেলে বা অন্য কোনও ষড়যন্ত্র করে কৃষকদের সরাতে পারবেন না। গোটা দেশ ওদের পাশে আছে, ওদের ভয় দেখানো যাবে না।”
রাহুলের এই বক্তব্যকে রীতিমতো দেশবাসীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে দাবি করলেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। তাঁর দাবি,”রাহুল গান্ধী আজ ভারতবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী যদি ওঁর রাজনৈতিক অবস্থান সমর্থন না করেন, তাহলে দেশের বিভিন্ন শহরে আগুন জ্বলবে। আমার দেশবাসীর কাছে অনুরোধ, রাহুলের এই প্ররোচনামূলক ভাষণে কান দেবেন না। শান্তি বজায় রাখুন। ও চাইছে গোটা দেশে ২৬ জানুয়ারির দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি হোক। ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও কংগ্রেস নেতা শান্তির কথা না বলে অশান্তির কথা বলল।” স্মৃতির এই আক্রমণের পর অবশ্য নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী এই ধরনের কোনও প্ররোচনামূলক কথাই বলেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.