সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যা নয়, মাকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে বাবা। খুনের তদন্তে ছবি এঁকে পুলিশকে একথা বোঝাল চার বছরের শিশুকন্যা। এমনকী ছবির আঁকার পাশাপাশি লিখেও জানাল খুদে—“বাবাই মাকে খুন করেছে”। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসির এই ঘটনায় পুলিশের প্রধান অবলম্বন খুদের ছবি আঁকার খাতা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত যুবককে।
ঝাঁসির বাসিন্দা মৃতা তরুণীর নাম সোনালী বুধোলিয়া। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির তরফে মৃতার মা-বাবাকে জানানো হয়, শারীরিক অসুস্থতার পরে আচমকা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সোনালী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর স্বামীর নাম সন্দীপ বুধোলিয়া। তিনি পেশায় ‘মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টিটিভ’। প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিকা মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু দম্পতির চার বছরের শিশু তদন্তকারীদের পথ দেখায়।
পুলিশকে খুদে জানায়, কীভাবে মাকে মাথায় ভারী পাথর দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে বাবা, এর পর গলায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মাকে যে বাবা নিয়মিত অত্যাচার করত, সেকথাও তদন্তকারীদের জানিয়েছে শিশুটি। সে নিজের ছবি আঁকার খাতা তুলে দেয় পুলিশের হাতে। সেখানে তরুণীর উপর অত্যাচারের ছবি মিলেছে। শিশুর বয়ান এবং এই আঁকার খাতার জেরে অন্য দিকে মোড় নেয় তদন্ত। পুলিশ এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
মৃতার বাবার সঙ্গে কথা বলার পর খুনের কারণ স্পষ্ট হয়েছে পুলিশের কাছে। সোনালীর বাবা জানান, মেয়েকে বিয়ের সময় ২০ লক্ষ পণ দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিত শুরু করে জামাই। যদিও এবারে তিনি জানান, গাড়ি কিনে দিতে পারবেন না। এর পরই তরুণীর উপর অত্যাচার শুরু করে যুবক। এমনকী সমস্যার সমাধানে দুপক্ষ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেবার সমঝোতায় এসেছিল দুই পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.