সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত বাধা পেরিয়ে সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছেন মহিলারা৷ সমাজের উলটো স্রোতে হেঁটে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন কনকদুর্গা এবং বিন্দু৷ আয়াপ্পার মন্দিরের পর এবার অগস্ত্যকোডমের চূড়ায় উঠে নজির গড়লেন আরেক মহিলা৷ অচলায়তন ভেঙে গর্বিত ধন্য সানাল নামে ওই সাহসিনী৷
অগস্ত্যকোডম পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে অগস্ত্য মুনির মূর্তি। নেই কোনও মন্দির। কেরলের কনি সম্প্রদায়ের মানুষ অগস্ত্য মুনিকে তাঁদের আরাধ্য দেবতা বলে পুজো করেন। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী ওই মন্দিরে কোনও মহিলার প্রবেশাধিকার ছিল না৷ গত ৩০ নভেম্বর কেরল হাই কোর্টের রায়ে সেই রীতিতে ইতি পড়েছে৷ এই কুসংস্কারকে বাতিল করার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামণি৷ অগস্ত্যকোডম ক্ষেত্র কানিক্কর ট্রাস্টের সভাপতি মোহন ত্রিবেদী ওইদিন জানান, ‘‘আমরা কনি সম্প্রদায়ের মানুষরা অগস্ত্য মুনিকে আরাধ্য দেবতা হিসাবে পুজো করি। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনেই মহিলাদের সেখানে যাওয়ায় বাধা ছিল। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশ আমরা মেনে নিয়েছি।’’ এরপরই অগস্তের চূড়ায় ওঠার প্রস্তুতি শুরু করে দেন একদল মহিলা৷ নেইয়ার জঙ্গলে ঘেরা অগস্ত্যকোডমের উদ্দেশ্যে সোমবার থেকে শুরু হয় ট্রেকিং৷ তাতে অংশ নেন ১০০ জন মহিলা৷ সোমবার রাতে আথিরুমালা পর্যন্ত পৌঁছান তাঁরা৷ পরেরদিন আবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে শুরু করেন ট্রেকিং৷ মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ অগস্ত্যকোডমে পৌঁছান পর্বতারোহীরা৷
ওই পর্বতারোহীদের দলে থাকা ধন্য সানালই প্রথম যিনি অগস্ত্যকোডমে পৌঁছেছেন৷ ওই পর্বতারোহী ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর এক কর্মী৷ নিয়মভাঙার পরের ভোরটা এক্কেবারে নবজীবনের মতো লাগছে বলে জানান ধন্য৷ দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে অগস্ত্যকোডমে ওঠার অভিজ্ঞতাও এদিন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন ওই পর্বতারোহী৷ তিনি লেখেন, ‘‘ট্রেকিং শুরুর দিনে কোনওরকম কষ্ট হয়নি৷ তবে দ্বিতীয় দিনে খুবই কষ্ট হয়েছে৷ একটানা পাহাড়ে চড়তে চড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন৷ তবে মনের জোরই আমাকে পৌঁছে দিয়েছে অগস্ত্য মুনির কাছে৷’’ সবরীমালার পর অগস্ত্যকোডম, একের পর এক নিয়ম ভাঙার লড়াইয়ে মনের জোর বাড়ছে অর্ধেক আকাশের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.