সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাতের অন্ধকারে সুড়ঙ্গে কাজ করতে নেমে বিপত্তি। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রামবন এলাকায় টানেলের একাংশ ভেঙে মৃত্যু হল বাংলার অন্তত ৫ জন শ্রমিকের। এঁরা সকলে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ অন্তত ১০। সাত থেকে আটজন এখনও ভেঙে পড়া অংশের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে অনুমান উদ্ধারকারীদের।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ১৫ নাগাদ রামবনের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর খুনি নালার পাশে সুড়ঙ্গটিতে (Tunnel) অডিটের কাজ শুরু হয়। সেখানে সুড়ঙ্গের সামনের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে। আটকে পড়েন শ্রমিকরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে। জম্মু-কাশ্মীরের একজন ছাড়া ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দ্রুত উদ্ধারকাজ চলে। কিন্তু তাতেও প্রাণহানি এড়ানো গেল না। বাংলার ৫ শ্রমিক – যাদব রায়, গৌতম রায়, সুধীর রায়, দীপক রায়, পরিমল রায়রা দীর্ঘক্ষণ আটকে ছিলেন। তারপরই তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার হয়।
রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন রামবনের পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। যান জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরাও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। নিহত পরিমল, দীপক ও সুধীরের বাড়ি ধূপগুড়ির ভাণ্ডানি এলাকায়। যাদব রায় ও গৌতম রায়ের বাড়ি মাগুরমারিতে। জানা গিয়েছে, গত ৩ তারিখ তাঁরা সকলে বাড়ি থেকে কাশ্মীরের কর্মস্থলে পৌঁছেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে সুড়ঙ্গের কাজ করছিলেন। তখনই নেমে আসে মৃত্যুদূত। খবর পেয়ে পরিবারে শোকের ছায়া। মৃত ছেলেদের দেহ ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। অন্তত চোখের দেখাটুকু তো দেখা যাবে।
সুড়ঙ্গে আটকে অসুস্থ হয়ে পড়া অন্যান্য শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে বলে খবর। একযোগে কাজে নেমেছে NDRF, SDRF, কুইক রেসপন্স টিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.