সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন দেশ জুড়ে কৃষক বিক্ষোভ চলছে, কৃষিঋণ মকুবের দাবিতে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে, তখন আরেকটি বিস্ফোরক রিপোর্ট সামনে আনল ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। এবার কাঠগড়ায় ভারতের খাদ্য নিয়ামক সংস্থা বা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঞ্জাবে পাঁচ লক্ষ টন শস্য নষ্ট হয়েছে শুধুমাত্র গাফিলতির জন্য।
ধান বা গমের মতো শস্য নষ্ট হয়েছে বলে ক্যাগের রিপোর্ট জানাচ্ছে। সরকারের উদাসীনতাকেই এজন্য দায়ী করছে ক্যাগ। সঠিক পরিকাঠামোর অভাব, শস্য সংরক্ষণের পরিকল্পনাহীনতা, সঠিক মূল্য না দেওয়া এই সব কারণে এত পরিমাণ শস্য নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ ক্যাগের।২০১১ সাল থেকে গোটা বছরের শস্য উৎপাদনের মাত্র ৬৭ শতাংশ ভরতুকি দেয় কেন্দ্র। যেখানে পাঁচ বছরে ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকা ভরতুকি দেওয়ার কথা, সেখানে ভরতুকি আসছে মাত্র পঁয়ত্রিশ কোটি টাকা। এই বেহাল অবস্থায় যে কৃষকদের বিক্ষোভ বাড়বে, আর শস্য নষ্ট হবে, তা বলাই বাহুল্য।
ক্যাগের রিপোর্টে আরও প্রকাশিত যে, সঠিক তথ্যও সংরক্ষণ করা হয়নি উদ্বৃত্ত ফসলের। পাঞ্জাবে হিমঘরের অপ্রতুলতার জন্যই পাঁচ লক্ষ টন শস্য নষ্ট হয়েছে বলে দাবি ক্যাগের। তার সাথেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভরতুকি না পাওয়া। ১৯৬৪ সাল থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম অর্থে শস্য কেনার দায়িত্বে রয়েছে এফসিআই। সেখানেই সমস্যা। শস্য কেনা ও সরবরাহ প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে যাচ্ছে গাফিলতি। পর্যাপ্ত পরিমাণে শস্য পৌঁছচ্ছে না বিপিএল তালিকাভুক্তদের কাছে। ব্যাহত হচ্ছে রেশন ব্যবস্থাও।
তবে শুধু এফসিআই নয়, গাফিলতি আছে খাদ্যমন্ত্রকেরও। এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে ক্যাগ। ভরতুকি ও পরিকাঠামোর গাফিলতির তথ্য দিয়ে প্রায় ১১ বার চিঠি গিয়েছে খাদ্য মন্ত্রকের কাছে, তবে জবাব আসেনি কোনটারই। শেষ চিঠিতে অবশ্য পরিকল্পনা ও ভরতুকি মঞ্জুরের আবেদন খারিজ করেছে মন্ত্রক। তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকছে কি কৃষকের সামনে? প্রশ্নটা স্বাভাবিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.