ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বোন রঙ্গোলি চান্দেলের (Rangoli Chandel) পর এবার ‘সাম্প্রদায়িক বিষ’ ছড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল প্রাক্তন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের (Anantkumar Hegde) টুইটার অ্যাকাউন্ট। রবিবার হেগড়ে নিজেই এক ফেসবুক পোস্টে একথা জানিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তবলিঘি জামাত এবং শিখদের এক ধর্মগুরুকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ আছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য দাবি করছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছে।
কর্ণাটকের এই বর্ষীয়ান বিজেপি সাংসদ প্রতিনিয়ত বিতর্কে থাকতেই পছন্দ করেন। বারবার তাঁর বিরুদ্ধে বিতর্কিত তথা সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের সম্মেলনের কথা প্রকাশ্যে আসার পরও ইনি স্বভাবসিদ্ধভাবে ওই ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। ধর্মের ছাতার তলায় এরা করোনা জেহাদের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, জামাত সদস্যদের খুনের হুমকিও দিয়েছেন অনন্ত কুমার হেগড়ে। এছাড়া এক শিখ ধর্মগুরু ধর্মের দোহাই দিয়ে পাঞ্জাবকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও টুইটারে অভিযোগ করেন হেগড়ে। এরপরই টুইটার কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানায়, যে তাঁর টুইটগুলি তাঁদের বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করছে। টুইটগুলি ভুলবশত হয়ে থাকলে তা যেন মুছে ফেলা হয়। কিন্তু অনন্তকুমার হেগড়ে নিজের টুইটগুলি মুছতে রাজি হননি। তারপরই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।
টুইটার কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হেগড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন। তাঁর অভিযোগ টুইটার কর্তৃপক্ষ পক্ষপাতিত্ব করছে এবং ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। বেছে বেছে ভারতপ্রেমীদের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হচ্ছে। টুইটার কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। হেগড়ের অভিযোগ, ‘আমার দুটি সাহসী পদক্ষেপের জন্য অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। টুইটার কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক উদ্দশ্যে ভারত বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.