সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিসাইল থেকে যুদ্ধবিমান! জি-২০ বৈঠক ঘিরে রাজধানী দিল্লির নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না। তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে কোনও ধরনের নাশকতা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে কার্যত ‘লৌহবর্মে’ মুড়ে ফেলা হবে রাজধানীর আকাশ।
আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-২০ সম্মেলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত। এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন আসছেন তেমনই আসার কথা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়েরও। হাজির থাকবেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। অর্থাৎ একই মঞ্চে দেখা যাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী চারটি দেশের প্রতিনিধিদের। এই সম্মেলনের জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা বিশ্ব। কারণ গত ৩ বছর ধরে পূর্ব লাদাখ নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। যার রফাসূত্র এখনও মেলেনি। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক বেজিংয়ের। লালফৌজের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন মোদি ও বাইডেন। ফলে ভারতের মাটি থেকে এই দুই মিত্র দেশ কমিউনিস্ট দেশটিকে সরাসরি কী বার্তা দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।
এহেন হাইভোল্টেজ সামিট যে জেহাদি ও খলিস্তানিদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান টার্গেট তা বলাই বাহুল্য। ফলে রাতের ঘুম উড়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির। সম্মেলন চলাকালীন রাজধানীর বুকে ড্রোন বা বিমান হামলা রুখতে সুখোই ও রাফালে ষুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে চলেছে বায়ুসেনা। থাকছে কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম। যে কোনও অনুপ্রবেশকারী বিমান ধ্বংস করতে থাকবে ‘আকাশ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও’। গোটা এলাকার উপর নজর রাখবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘নেত্র’ নজরদারি বিমান। রাজধানী ও তার আশপাশের অঞ্চলের দায়িত্ব বর্তেছে ওয়েস্টার্ন ও সাউথ ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডের হাতে।
উল্লেখ্য, জি-২০ বৈঠক (G-20 Meeting) হতে চলেছে দিল্লির (Delhi) আইটিপিও কমপ্লেক্সে (ITPO Complex)। তার আগে কয়েক কোটি টাকা খরচে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ওই কমপ্লেক্সকে। সম্প্রতি ভোল বদলে যাওয়া প্রগতি ময়দানের ওই কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই সূত্রে কমপ্লেক্স চত্বরে যজ্ঞ ও পুজোয় অংশ নেন তিনি। সবমিলিয়ে সম্মেলন উপলক্ষে সেজে উঠছে দিল্লি। রাজধানীকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.