সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেসে। বেশ কিছুদিন ধরেই এ খবর শোনা যাচ্ছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। জুলাই মাসে PK-রাহুল গান্ধীর সাক্ষাতের পর জল্পনা চরমে উঠেছিল। কিন্তু তারপর প্রায় মাস দেড়েক এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য নেই। প্রশান্ত কিশোর নিজেও ফের লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছেন। এর নেপথ্যে আসল কারণ কী?
সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইলেও দলের একাংশ তাঁকে নিতে রাজি নন। বিশেষ করে কংগ্রেসে ‘বিদ্রোহী’ G-23 গ্রুপের নেতাদের অনেকেই নাকি প্রশান্তকে দলে নেওয়ার পক্ষে নন। সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে অন্যতম কপিল সিব্বলের (Kapil Sibbal) বাড়িতে জড়ো হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী নেতা। সেখানেই নাকি পিকের সম্ভাব্য যোগদান এবং বড় পদপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী নেতাই পিকে-কে দলে টানতে নারাজ। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, প্রশান্ত দলে এলেও তাঁকে বড় পদ দেওয়ার অর্থ হয় না।
আসলে, শেষবার প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) এবং রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে। বলা বাহুল্য, সেই অভিজ্ঞতা কোনও শিবিরের জন্যই মধুর নয়। পিকের কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র ব্যর্থতার দাগ লেগেছে সেই উত্তরপ্রদেশেই। কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বলছে, সেবারে রাহুলের কিষাণ যাত্রার পর কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে ভালই গতি পেয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রশান্ত কিশোর পরিকল্পনা পালটে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে জোট করতে যাওয়ায় দলের ভরাডুবি হয়। তারপর থেকেই সব রাজ্যে কংগ্রেসের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়া শুরু করে। এই নেতাদের মতে প্রশান্ত কিশোর ‘ওভাররেটেড’।
আরেক শ্রেণীর নেতারা আবার অন্য আশঙ্কা করছেন। তাঁরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোর একচ্ছত্রভাবে কাজ করেন। কারও পরামর্শ নেন না। সংগঠন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে তাঁর দলবল। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের (Congress) নিজস্ব সংগঠন ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে রাহুল গান্ধী চাইছিলেন প্রশান্তকে আহমেদ প্যাটেলের মতো পদে বসাতে। কিন্তু জি-২৩ নেতাদের তাতে তীব্র আপত্তি। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা এসব নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। আপাতত তাঁরা ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.