সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভয়ংকর অভিজ্ঞতা’, বললেন মেডিক্যালের প্রবেশিকা (National Eligibility Entrance Test) দেওয়া কেরলের (Kerala) এক তরুণী পরীক্ষার্থী। অন্যদের মতোই গত ১৭ জুলাই অন্তর্বাস খুলে তবে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পান তিনি। জানালেন সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল।
ঘটনার দিনই এক পরীক্ষার্থীর বাবা পুলিশে অভিযোগ করেন, মেডিক্যালের প্রবেশিকা দিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করে মেয়েদের। এইপরেই শোরগোল পড়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণীর বক্তব্য, “মানসিক হেনস্তায় ভাল করে পরীক্ষা দিতে পারিনি। অন্যদেরও একই অবস্থা হয়।”
পরীক্ষার্থীর কথায়, “তিন ঘণ্টার পরীক্ষা ছিল। গোটা সময় মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করছিলাম। আমার কাছে ওড়না ছিল না। ফলে ব্রা খুলে নেওয়ায় চুল দিয়ে শরীর ঢাকার চেষ্টা করি।” আরও বলেন, “মেয়েদের সঙ্গে ছেলেরাও পরীক্ষা দিয়েছিল সেদিন। ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়।”
এই ঘটনায় অভিযুক্ত হয় কেরলের কোল্লাম (Kollam) জেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র। ১৭ জুলাই পরীক্ষার পরেই এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, পরীক্ষাকেন্দ্রের মহিলা নিরাপত্তারক্ষী ব্রা খুলতে বলেন। যেহেতু তাতে ধাতুর হুক রয়েছে। ছাত্রী এই বিষয়ে আপত্তি করলে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তিনি প্রবেশিকা দিতে পারবেন না। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগপত্রে গোটা বিষয়টি জানান ছাত্রীর বাবা।
যদিও জানা গিয়েছে, অন্তর্বাস খোলা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা ছিল না। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে মানিব্যাগ, হাতব্যাগ, বেল্ট, টুপি, গয়না, হাই হিল জুতো নিষিদ্ধ করা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচজন মহিলা নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা এমন কাণ্ড কেন করলেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তরুণী বলেন, “ফেরার সময় নিজের অন্তর্বাস খুঁজে পাব কিনা তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। একটি ঘরে ডাই করে রাখা ছিল প্রায় ১০০ জন পরীক্ষার্থীর অন্তর্বাস। ভাগ্যক্রমে আমি নিজের অন্তর্বাস খুঁজে পাই। অনেকে তা হারিয়ে ফেলে কেঁদে ফেলে। মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর তা দেখে বলেন, কাঁদার কী আছে। পরার দরকার নেই, হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাও। সবটাই দুঃস্বপ্নের মতো।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.