সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন তালাক, ৩৭০ ধারার পর এবার কি ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল? গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে এখন সেই জল্পনাই শোনা যাচ্ছে। সরকারি সূত্রে যা খবর, সেই অনুযায়ী এবার ধর্মান্তকরণ রুখতে বিল আনতে চলেছে মোদি সরকার। সেইমতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে সরকারের অন্দরে। মূলত জোর করে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ এবং ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে এই বিল আনা হতে পারে বলে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
আসলে, তিন তালাক থেকে শুরু করে ৩৭০ ধারা বিলোপ পর্যন্ত, মোদি সরকার ২.০ এখনও পর্যন্ত সংঘ পরিবারের এজেন্ডাগুলিই একের পর এক পূরণ করে চলেছে। সেই তালিকায় পরবর্তী নাম – ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল। সরকারি সূত্রে খবর, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এখনও জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করছে মুসলিম যুবকরা। এই ধর্মান্তকরণের জেরেই দেশে হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় মুসলিম জনসংখ্যা তরতরিয়ে বাড়ছে বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, স্বাধীনতার সময় দেশে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই হিন্দু জনসংখ্যা ছিল। কিন্তু, এখন তা কমতে কমতে ৭২-৭৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু জনসংখ্যা কমার পিছনে ধর্মান্তকরণকেই দায়ী করছেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা। তাই, ধর্মান্তকরণ বিল আনা জরুরি বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার সময় ভারতের জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ ছিল হিন্দু, এখন তা কমে হয়েছে ৭৯.৮০ শতাংশ। এবং তা মূলত পরিবার পরিকল্পনার দৌলতে।
মোদী সরকারের প্রথম পর্বে তাই ‘ঘর ওয়াপসি’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, যখন কোনও হিন্দু অন্য ধর্ম গ্রহণ করছেন, তাকে বলা হচ্ছে ধর্মান্তরণ। কিন্তু সঙ্ঘ পরিবার যখন কাউকে হিন্দুধর্মের ছাতায় নিয়ে আসছে, তখন তা ‘ঘর ওয়াপসি’! এ বার ধর্মান্তরণ পাকাপাকি রুখতেই বিল আনার ভাবনা। সব ঠিক থাকলে আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হবে ধর্মান্তকরণ বিরোধী বিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.