সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ঝকঝকে সমাবেশে বিদেশের শিল্পপতিদের উত্তরাখণ্ডে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই ঝাঁ চকচকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উত্তরাখণ্ডের ত্রিবেন্দ্র রাওয়াতের সরকার। বিনিয়োগের আহ্বান করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন, তাঁর আমলে ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজে পৌঁছে যাচ্ছে পরিষেবা।
কিন্তু বিদেশি শিল্পপতিদের কাছে যখন প্রধানমন্ত্রী ভারতের এই ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তখন উত্তরাখণ্ডেরই প্রান্তিক এলাকা কুমায়ুনের ৭ টি গ্রামে ছবিটা পুরো উলটো। ব্যাংকিং ব্যবস্থা তো দূর কি বাত, এই এলাকাগুলিতে সরকারি রেশনও ঠিকমতো পৌঁছায় না। যেটুকু পৌঁছায় তা যথেষ্ঠ নয়। ফলে বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালের দিকে হাত বাড়াতে হচ্ছে। না সরাসরি চিনে গিয়ে নয়, নেপাল থেকে চিনের খাদ্যশস্য কিনতে হচ্ছে এই গ্রামগুলিকে।
একটু খোলসা করে বলা যাক, কুমায়ুনের মোট ৭ টি গ্রামে সরকারি রেশন ঠিকমতো পৌঁছায় না। এই এলাকার আদিবাসীরা বাধ্য হয়ে গারবিয়াংয়ে কালি নদী পেরিয়ে চলে যান নেপালে। সেখানে গিয়ে তাঁরা সস্তায় কেনেন চিনা খাদ্যশস্য। আবার নদি টপকে আসেন এপারে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন, “সরকার আমাদের পরিবারপিছু ৫ কেজি গম এবং ২ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে। এতে আমাদের এক্কেবারেই চলে না। আমাদের পাহাড়ি এলাকায় ধান গমের মতো খাদ্যশস্য চাষও করা যায় না। বারবার প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হয়নি।”
[মোবাইল ও ব্যাংকে ফের বাধ্যতামূলক হতে পারে আধার কার্ড]
ভারতের সাতটি গ্রামকে খাদ্যশস্যের জন্য চিনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ খবরে মুখ পুড়ছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তড়িঘড়ি ওই এলাকায় রেশন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হেলিকপ্টারে করে ৭২.৫ কুইন্টাল খাদ্যশস্য পাঠানো হচ্ছে ওই এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.