সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ফোরামে কমবেশি সব দেশই ভারতের পাশে ছিল। যে মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ পাকিস্তানের অপপ্রচারে কান দিয়েছে, তাদের মধ্যে একটি হল তুরস্ক। সেদেশের প্রেসিডেন্ট এরদোগান কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৩৭০ ধারা বাতিলকে ভারতের কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন। তারপর থেকেই দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত আঙ্কারা সফর বাতিল করল ভারত। তুরস্কের রাজধানীতে আপাতত পা রাখছেন না মোদি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারত কাশ্মীরকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ভারতকে সমর্থনও করেছ। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তের বেমালুম বিরোধিতা করে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, “ভারতের এই সিদ্ধান্ত কাণ্ডজ্ঞানহীন। কাশ্মীর ইস্যু দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীল উন্নয়নের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। একে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না। এই সমস্যা মিটতে পারে একমাত্র আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই। সংঘর্ষের মাধ্যমে নয়।” রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে এরদোগানের এই মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে যেমন ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষ ছড়াতে উৎসাহ দিয়েছে, তেমনি নয়াদিল্লিকে ক্ষুব্ধ করেছে।
নয়াদিল্লি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কটাক্ষের সুরে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার বলেছেন, “তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ভারত। কাশ্মীর সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা তুরস্কের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি, এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করার আগে, আমাদের কাছে এসে ভালভাবে ইস্যুটি যেন তাঁরা জেনে নেয়।” শুধু তাই নয়, এরপরই নয়াদিল্লির তরফে ঘোষণা করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত আঙ্কারা সফর আপাতত হচ্ছে না। এই সফর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে, শুধু কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখেই যে মোদির এই সিদ্ধান্ত তা নয়। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই সফর বাতিলের পিছনে তুরস্কের সাম্প্রতিক আগ্রাসী মনোভাবও কাজ করতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.