সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দানা মাঝির ছায়া। এবার যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। পরিবর্তনের পর যে রাজ্যের মানুষ সুশাসনের আশায় বুক বাঁধছে সেই রাজ্যেই অমানবিকতার চরম নিদর্শন দেখতে পাওয়া গেল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা না করায় ১৫ বছরের ছেলের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে গেলেন বাবা। সেই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং এক প্রত্যক্ষদর্শী সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতেই ওঠে নিন্দার ঝড়। যে রাজ্যে গরুর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হয় সেখানে মানুষের জন্য রয়েছে শুধুই উপেক্ষা, তাচ্ছিল্য। অ্যাম্বুল্যান্স তো অনেক দূরের কথা।
পেশায় দিনমজুর উদয়বীর বলেছেন, অসুস্থ ছেলে পুষ্পেন্দ্রর চিকিৎসার জন্য এটাওয়ার সরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন। এই এলাকা সমাজবাদী পার্টির নেতাজি মুলায়ম সিং যাদবের জন্মস্থানও বটে। তাই আগের সরকার এখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা অন্যান্য এলাকার চেয়ে একটু বেশি ভাল করবে বলেই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো। রাজ্যের অন্যমত সেরা বলে পরিচিত এই হাসপাতালে ছেলের কোনও চিকিৎসাই হয়নি বলে অভিযোগ উদয়বীরের। চিকিৎসকরা নাকি ফিরিয়ে দেন উদয়বীরকে। উদয়বীর নিজেও দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সেই অবস্থাতেই ছেলের দেহ কাঁধে চাপিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাড়ি নিয়ে যান তিনি। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিখরচায় শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেকথা কেউ জানায়নি উদয়বীরকে। বাধ্য হয়ে একজনের বাইকে করে ছেলের দেহ কাঁধে বাড়ি ফেরেন তিনি।
জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক এই ঘটনাকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, ছেলেটিকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু একটি বাস দুর্ঘটনায় জখমদের শুশ্রুষায় ব্যস্ত ছিলেন ডাক্তাররা। তাই উদয়বীরকে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়নি বলে দাবি তাঁর। মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার রাজীব যাদব ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.