সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান হেলথ সিস্টেম’। ২০৩০ সালের মধ্যেই এই নীতির বাস্তবায়ন চায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেজন্য এখন থেকেই শুরু পরিকল্পনা। এই নয়া ব্যবস্থায় অ্যালোপ্যাথি (Allopathy), হোমিওপ্যাথি (Homoeopathy) ও আয়ুর্বেদকে (Ayurveda) মিশিয়ে দেওয়া হবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রোগীরা যে কোনও ধারাতেই চিকিৎসা পেতে পারেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা, রোগের ধরন ইত্যাদি দেখে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক সরকারি কর্মী জানাচ্ছেন, ‘‘সরকার চেষ্টা করছে চিকিৎসার সময় ‘প্যাথি’-র বিষয়টি থেকে সরে আসতে। অর্থাৎ, এটা কোনও ব্যাপার নয় রোগীকে অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি কিংবা আয়ুর্বেদ কোন মতে চিকিৎসা করানো হল। তাঁকে সুস্থ করে তোলাটাই উদ্দেশ্য।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন কোনও রোগী হাসপাতালে আসেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা গুরুতর থাকলে তাঁকে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু যদি দেখা যায় হোমিওপ্যাথি কিংবা আয়ুর্বেদ চিকিৎসাতেও কাজ হতে পারে, তাহলে সেটাও প্রয়োগ করা যেতে পারে।’’ ওই কর্মীর মতে, এমনটা হলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিও স্বীকৃতি পাবে। বোঝা যাবে, এগুলি কোনও ‘বিকল্প’ ব্যবস্থা নয়। এগুলি স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ড. ভিকে পালের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা এই সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেমন হবে সেই রূপরেখা তৈরি করছে। লক্ষ্য এমন এক স্বাস্খ্য ব্যবস্থা যা হবে সাশ্রয়ী ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য প্রচারের জাতীয় কর্মসূচিও তৈরি করতে চলেছে তারা।
২০৩০ নাগাদ এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু হতে পারে। তবে আপাতত চারটি ওয়ার্ক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলি যথাক্রমে শিক্ষা, গবেষণা, ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস এবং জনস্বাস্থ্য ও প্রশাসন, এই চারটি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখবে আমেরিকা, চিন ও ইউরোপের দেশগুলি কীভাবে তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এই সমন্বয়ের ব্যবহার করে। সমস্ত পর্যবেক্ষণকে মিলিয়েই ভবিষ্যতে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান হেলথ সিস্টেম’-এর দিকে এগোতে চায় দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.