সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৯ মার্চ থেকে প্রি-ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে কর্ণাটকে (Karnataka)। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাঙ্গনে হিজাব (Hijab) পরার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন একদল মুসলিম (Muslim) ছাত্রী। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত এই মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করার।
আবেদনকারীদের আইনজীবী শাদান ফারাস্ত শীর্ষ আদালতে আরজি জানিয়ে বলেন, যদি ৯ মার্চের আগে এই বিষয়ে শুনানি না হয় এবং ওই ছাত্রীদের পরীক্ষার সময় হিজাব পরার অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের একটা বছর নষ্ট হবে। এই কথায় প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ”ওঁদের পরীক্ষায় বসা থেকে কে আটকাচ্ছে?”
এর জবাবে শাদান বলেন, ”ওই ছাত্রীদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবং ছাত্রীরা হিজাব ছাড়া পরীক্ষায় বসতে চান না। আমরা ওঁদের সাময়িক স্বস্তি চাইছি।”
গত বছরের ১৫ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘হিজাব পরার অধিকার’ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেয় কর্ণাটক হাই কোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানায়, ইসলাম ধর্মাচরণে হিজাব (Hijab) অপরিহার্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, তা খারিজ করে দেয় আদালত। তারপরই এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে। কিন্তু শীর্ষ আদালতেও এই মামলায় ‘স্প্লিট ভারডিক্ট’ দেয় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ। বিচারপতিদের একজন কর্ণাটক হাই কোর্টের রায় বহাল রাখলেও অন্যজন মামলাকারীদের পক্ষেই রায় দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.