সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানব শিশুর শরীরে সাধারণত দুটি পা আর দুটি হাতই থাকে। কিন্তু প্রকৃতির আজব খেয়ালে কখনও কখনও এর অন্যথাও ঘটে যায়। শহরে তবুও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ আছে, গ্রামে তো তাও নেই। তাই গঞ্জনা শুনতে হয় বাবা-মাকেই। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল গুজরাতের প্রতাপ আর সুরেখা মুলির ক্ষেত্রে। দুটি নয়, চারটে পা নিয়ে জন্মেছিল এই দম্পতির শিশুকন্যা। জন্মের চার মাস পর অবশেষে জটিল অস্ত্রোপচার হল ওই শিশুটির। পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের ধকল সামলে আপাতত সুস্থ আছে সে।
[সুষমার সাহায্যে দেশে ফিরলেন সৌদিতে বিক্রি হয়ে যাওয়া ভারতীয় মহিলা]
জানা যাচ্ছে, গত জানুয়ারিতে ওই শিশুকন্যার জন্ম দেন সুরেখা। জন্মের আগে একটি আলট্রাসাউন্ড করে নিলেই কঠিন সত্যটা জানা যেত। কিন্তু, গুজরাতের ওই দম্পতির সেই আর্থিক সামর্থ্য ছিল না, যে তাঁরা আলট্রাসাউন্ড করাতে পারতেন। তাই জন্মের পর সন্তানের এই শারীরিক বিকৃতি দেখে চমকে গিয়েছিলেন তাঁরা। মানসিক যন্ত্রণা তো ছিলই, তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল গ্রামবাসীদের অসংবেদনশীল আচরণ। শিশুটির জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির পরিবারকেও একঘরে করে দেন তাঁরা। শিশুটির নাম দেওয়া হয় এলিয়েন। এই নামে তাঁদের সন্তানকে যখন লোকে ডাকত, তখন কার্যত বুক ফেটে যেত ওই দম্পতির। অবশেষে সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন প্রতাপ ও সুরেখা মুলি।
[ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে পণ্য বিক্রি করে ৯০০ কোটি ডলার আয় গৃহবধূদের]
জন্মের মাস চারেক বাদে, চলতি মাসে আহমেদাবাদের পুরসভা পরিচালিত একটি হাসপাতালে শিশুটির জটিল অস্ত্রোপচার হল। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ধরে অস্ত্রোপচার করে, অতিরিক্তি দুটি পা বাদ দিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কেন এমন বিকৃতি নিয়ে জন্মেছিল শিশুটি? চিকিৎসকরা বলছেন, সুরেখার গর্ভে দুটি সন্তান ছিল। কোনওভাবে অন্য সন্তানের দেহটিও ওই শিশুটি দেহের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল। তাই দুটির বদলে চারটি পা নিয়ে জন্মেছিল সে। বিশ্বে এমন ঘটনা কোটিতে একটি হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.