সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু দেশের মধ্যে নয়, বিশ্বের সব চেয়ে বেশি দূষিত শহরের তকমা পেল গুরগাঁও। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইকিউ এয়ার এয়ারভিসুয়াল অ্যান্ড গ্রিনপিস-এর একটি সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। দূষণ তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেই থেমে নেই, সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের দূষণ-কলঙ্কের প্রভাব আরও বিস্তৃত। বিশ্বের প্রথম দশটি দূষিত শহরের মধ্যে সাতটি ভারতের, একটি চিনের ও দু’টি পাকিস্তানের।
[ঘরেই অস্বস্তি বিজেপির, এবার পুলওয়ামা হামলা-এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলল শিব সেনাও]
ভারতের গুরগাঁও, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ, ভিওয়াড়ি, নয়ডা, পাটনা, লখনউ চিনের হোতান ও পাকিস্তানের লাহোর, ফয়সলাবাদ রয়েছে বিশ্বের দূষিততম প্রথম দশটি শহরের তালিকায়। বর্ধিত তালিকাতেও আধিপত্য ভারতের। প্রথম ২০টি দূষিত শহরের তালিকায় ১৫টি স্থানই দখন করে রেখেছে ভারত। দূষণ তালিকায় একাদশ স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। শুধু দূষণ-কলঙ্কই নয়, সেই সঙ্গে বাড়ছে ফুসফুসে ক্যানসার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হাঁপানির মতো অসুখ। বাচ্চা থেকে বড় সকলেই এই সব মারণ রোগের শিকার হচ্ছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। দূষণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়নকে। যার প্রভাবে নির্বিচারে ধ্বংস করা হয়েছে সবুজ। বর্তমানে গুরগাঁও খুঁজলে একটা গাছও চোখে পড়ে না। সেই সঙ্গে ঘরে ঘরে বসেছে এয়ার কন্ডিশন। পরিবার পিছু গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। একদিকে দূষণের পরিমাণ বেড়েছে, অন্যদিকে নিশ্চিহ্ন হয়েছে দূষণমোচী উদ্ভিদকুল। দূষণের কবলে বায়ু, জল, মাটি, সবই বিষিয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ে যাচ্ছে বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরও। শুধু মানুষই নয়, পশু-পাখি, গাছপালাও এই দূষণের শিকার।
দূষণ তালিকায় নাম থাকলেও আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে চিনের দূষণ পরিস্থিতি। ২০১৩ সালে এই তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল চিনের রাজধানী বেজিং। বর্তমান সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগের তুলনায় বেজিং-এর দূষণ কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
[শারীরিক অবস্থা অতি সংকটজনক, ভেন্টিলেশনে বড়মা বীণাপাণিদেবী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.