সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাসের (Hathras) নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়নি। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ওই দলিত তরুণীকে মেরে ফেলেছেন ওঁর মা ও দাদা। এমনই বিস্ফোরক দাবি করল হাথরাস কাণ্ডের অভিযুক্তরা। পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টকে লেখা এক চিঠিতে তারা এমনটাই লিখেছে। পাশাপাশি এই মামলায় যেন নিরপেক্ষ তদন্ত হয়, এমনই দাবি জানিয়েছে তারা। চিঠির বয়ানে স্পষ্ট, অভিযুক্তরা চাইছে গণধর্ষণ থেকে মামলাটিকে মোড় ঘুরিয়ে অনার কিলিংয়ের দিকে নিয়ে যেতে। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ ওই চিঠিতে দাবি করেছে, ১৯ বছরের ওই তরুণীর মৃত্যুর জন্য দায়ী ওঁর পরিবার। এখন তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। চিঠিতে সে ছাড়াও সই করেছে বাকি তিন অভিযুক্ত রামু, লবকুশ ও রবি।
অভিযুক্ত সন্দীপের দাবি, তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্ককে মেনে নেয়নি। নির্যাতিতার দাদা ও মা এ কারণে মারধরও করে ওই তরুণীকে। তার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি অভিযুক্তের। এদিকে মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করে, নির্যাতিতার ভাইয়ের সঙ্গে সন্দীপের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ফোনে কথাও হত। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত তাদের মধ্যে পাঁচ ঘণ্টা কথোপকথন হয়েছে। যদিও তরুণীর দাদা এই দাবিকে অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সন্দীপের কখনও ফোনে কথা হয়নি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার ওই দলিত যুবতী ধর্ষণ এবং নৃশংসতার শিকার হন। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই গোটা দেশ গর্জে উঠছে অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে।
হাথরাস নিয়ে বিরোধীদের দিকে তোপ দেগেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে একজন অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ও একজন ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেলকে হাথরাস ও আলিগড়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সাতদিন তাঁরা সেখানকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.