সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক পর্নোগ্রাফি দেখানোর অভিযোগ উঠল অসমের করিমগঞ্জ জেলার সরকারি বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাকে শারীরিক নিগ্রহও করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনাটি ঘটে ১২ আগস্ট। শনিবার বিষয়টি সামনে আসতেই স্কুলে ভাঙচুর চালায় ওই ছাত্রীর পরিবার ও অন্যান্য পড়ুয়ার অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। করিমগঞ্জ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ছাত্রীর অভিভাবকরা জানান, ‘ওই ঘটনার পর নির্যাতিতা ছাত্রী প্রথমে বাড়িতে কিছু জানাতে চায়নি। পরে তাঁরা জোর দিতেই তার সঙ্গে কী ঘটেছিল তা মায়ের কাছে বলে।’ ছাত্রীর মা বলেন, “ওর কাছে জানতে চাওয়া হলে প্রথমে কিছু বলেনি। পরে আমাকে বলে স্কুলের শিক্ষক তাকে কুশ্রী কিছু দেখতে বাধ্য করেছেন। এমনকী খারাপভাবে স্পর্শও করেন।”
পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “ঘটনা সামনে আসতেই উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষককে মারতে যান। কিন্তু তিনি সেই জায়গা থেকে পালাতে সক্ষম হন। তার পরেই জনতা স্কুলে ভাঙচুর চালায়। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এদিকে সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালানোর জন্য অভিভাবকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এক অভিভাবক বলেন,” আমরা আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাই ভালো শিক্ষা পেয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য। কিন্তু এইরকম একজন শিক্ষকের কাছ থেকে তারা কী শিখবে।” ঘটনার পর থেকে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.