সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংরক্ষণ এবং তাঁর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভারতে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এবার সেই বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করলেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দাদের একাংশ। নির্বাচনে বর্ণের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণের বিরোধিতায় সরব হলেন তারা। উচ্চবর্গের মানুষের দাবি, জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণ করা হলে উচ্চবর্গ(জেনারেল কাস্ট)-এর মানুষেরা কোনও প্রার্থীকে ভোট দেবেন না, হয় তারা ভোট বয়কট করবেন নাহয় তাদের ভোট পড়বে নোটায়।
ভোপালের বাসিন্দাদের একাংশ সাফ জানাচ্ছেন, সরকারকে বর্ণের ভিত্তিতে সংরক্ষণের এই নীতি পুরোপুরি বর্জন করতে হবে। ভোট হোক উন্নয়ন ইস্যুতে। রাজনৈতিক দলগুলিরও উচিত ধর্ম বা বর্ণের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হওয়া প্রার্থীদের জন্য ভোট না চাওয়া। বেশ কয়েকটি বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলির জন্য। তাতে বলা হয়েছে, ‘যদি বর্ণের ভিত্তিতে ভোট চাইতে আসেন তাহলে ভোট চেয়ে লজ্জা দেবেন না।’ উল্লেখ্য, গোটা দেশেই তপশিলি জাতি এবং উপজাতির জন্য পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা সব স্তরেই সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মেরই বিরোধিতা করছে ভোপালের বাসিন্দাদের একাংশ।
এক বাসিন্দা বলছেন, আমরা সরকারের কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা করছিলাম। আশা ছিল, রাজ্য সরকার বা কেন্দ্র সরকার পদক্ষেপ নিয়ে সংরক্ষণ তুলে দেবে। সংরক্ষণের জেরে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জেনারেল কাস্টকে। জেনারেল কাস্টের মানুষই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। আরও এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, সংরক্ষণ প্রথার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে জেনারেল কাস্টের পড়ুয়াদের। স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও-ই তাঁরা মেধার ভিত্তিতে সমান সুযোগ পাচ্ছে না। সরকার যদি, পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য করতেই চাই, তাহলে তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করুক, এভাবে বাড়তি সুবিধা দিয়ে বেশিদিন চলতে পারে না। সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি ভোট চাই, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না, তাই আমরা এবার কোনও রাজনৈতিক দলকে ভোট দেব না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.