সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৬২’র যুদ্ধে ভারতের (India) পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্দশা। তবে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে দেশ। ফলে, বিগত কয়েকবছরে সীমান্তে পরিকাঠামো নির্মাণে গতি এসেছে। এবার লাদাখে চিনের (China) সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের বরাদ্দ একধাক্কায় চারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে সীমান্তে সড়কগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ একধাক্কায় ৩০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ কোটি টাকা করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। এর ফলে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (BRO) কাজ অনেকটাই দ্রুত এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। উদাহরণস্বরূপ, এবার থেকে লাদাখে একবারে ৫৮৯ কোটি টাকার নয়া সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অনুমতি মিলবে। আগে এর জন্য সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৭২ কোটি টাকা। জম্মু-কাশ্মীরে নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণের সর্বোচ্চ খরচ ১ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সদ্য তৈরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, BRO প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অন্তর্ভুক্ত। তবে জাতীয় সড়কে কাজ করলে সেই অংশের টাকা সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক নিজের বাজেট থেকে দেয়।
উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকার (Galwan Valley) পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-এর কাছে চিনা সেনার তাঁবু নিয়েই সংঘর্ষ হয়েছিল দু’দেশের সেনার। তার পরেও নির্মাণের কাজ থামায়নি চিনা সেনা। সেনা সূত্রের দাবি, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এমন নদী বাঁকে চিনা শিবিরগুলি তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সেনার দাবি, ওই বাঁকগুলি থেকে সরাসরি ভারতীয় সেনা শিবিরের উপর নজরদারি চালানো যায়। তাই আপাতত পিছু হঠলেও তাঁরা যে ফের ফিরে আসবে না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা চলে না। সেসব কথা মাথায় রেখেই এবার সীমান্তে দ্রুত সড়ক নির্মাণে নজর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.