সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনতা কারফিউয়ের দিন বিকেল পাঁচটা হাততালি দিয়ে বা থালা বাজিয়ে করোনা যোদ্ধাদের উৎসাহিত করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাড়ির ছাদ, বারান্দা বা দরজায় দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচি পালন করার অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু, বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় বিকেল পাঁচটার পরে অনেক মানুষ রাস্তায় হাততালি দিতে দিতে বা থালা বাজাতে বাজাতে মিছিল করে যাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ধরনের ছবি পোস্ট হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টির জেরে কটাক্ষের শিকার হতে হয় খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও। শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পর সেই একই ঘটনা ঘটল। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হল তাঁকে। মানুষ মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে যাতে নিজেদের বাড়ি না পুড়িয়ে ফেলে সেই দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিলেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
When people were asked to clap , they crowded the roads and beat drums , I just hope now they don’t burn down their own houses , sir ‘diya to jalalenge ‘ but please tell us what the government is doing to improve condition
— Sanjay Raut (@rautsanjay61) April 3, 2020
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে ব্যঙ্গ করেন সঞ্জয় রাউত। শিব সেনার ওই রাজ্যসভা সাংসদ ও মুখপাত্র টুইট করেন, ‘আগের বার মানুষকে যখন হাততালি দিতে বলা হয়েছিল তখন কিছু মানুষ রাস্তায় নেমে ড্রাম বাজিয়ে মিছিল করেছিল। এবার আশাকরি প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে ওরা নিজেদের বাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে না। স্যার, প্রদীপ তো আমরা জ্বালাব। কিন্তু, আপনি আমাদের বলুন পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার কী করছে?’
শুক্রবার সকালে দেশবাসীর কাছে, ৫ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার রাত নটার সময় ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির ইলেকট্রিক আলো বন্ধ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারত যে একসঙ্গে লড়ছে তা বোঝাতে সবাই মিলে ওই সময়ে দরজা বা বারান্দায় দাঁড়িযে মোমবাতি, প্রদীপ কিংবা মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে রাখুন। এতে করোনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভারতের লড়াই ছবিই ধরা পড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.