সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়ুষ মন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না পতঞ্জলির আয়ুর্বেদিক ‘করোনা’র ওষুধ করোনিল। কেন্দ্রের এমন নির্দেশের পরও রাজস্থানের জয়পুরের একটি হসপাতাল করোনা রোগীদের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করছে। খবর পাওয়া মাত্র সেই হাসপাতালকে নোটিস ধরাল রাজস্থানের স্বাস্থ্য বিভাগ। রোগীদের উপর কেন করোনিল প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা চেয়ে হাসপাতালকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরের চিফ মেডিক্যাল অ্য়ান্ড হেল্থ অফিসার নরোত্তম শর্মা জানিয়েছেন, জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (NIMS) হাসপাতালকে বুধবার নোটিস পাঠিয়েছেন তাঁরা। নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে কেন ‘করোনিল’ ব্যবহার করা হয়েছে? এ নিয়ে হাসপাতালকে তিনদিনের মধ্যে উত্তর দিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান সরকার। এখনও সেই উত্তর আসেনি। ‘করোনিল’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাসপাতাল রাজ্য সরকারের কোনও মতামত নেয়নি বলেও জানান নরোত্তম শর্মা। হাসপাতালের তরফে ঘটনার ব্যাখ্যা জানানো হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর।
মঙ্গলবার পতঞ্জলির ওষুধ করোনিল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই রামদেবের সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছে, যতদিন না এই করোনিল (Coronil) করোনা চিকিৎসার সব গাইডলাইন পার হচ্ছে, ততদিন একে ‘করোনার’ ওষুধ বলে বিক্রি করা যাবে না। এরপরই করোনিলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ড। রাজস্থান সরকার সাফ জানিয়ে দেয় আয়ুশ মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া ওষুধটি রাজ্যে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা বুধবার বলেন যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ওষুধ হিসাবে কোনও ওষুধ বিক্রি করলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তরাখণ্ড সরকার জানায় COVID-19 নিরাময়ের ওষুধ হিসেবে এর কোনও লাইসেন্স নেয়নি পতঞ্জলি। শুধু কাশি এবং জ্বরের ওষুধ হিসেবে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল তারা। এই মর্মে পতঞ্জলিকে নোটিস পাঠানোর কথাও জানিয়ছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.