ছবি: ফাইল
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের আগেই বিপত্তি। বিস্ফেোরণে উড়ল কমিউনিটি সেন্টারের একাংশ। বিস্ফোরণস্থলের পাশেই উদ্ধার হয়েছে মাওবাদী পোস্টারও। যা দেখে এই ঘটনার নেপথ্যে মাওবাদি যোগ স্পষ্ট। রবিবার ভোরে খুঁটি জেলার সেলদা গ্রামে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। যার জেরে কমিউনিটি সেন্টারের একাংশ উড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের কয়েকঘণ্টা আগেই মাওবাদীদের এই কার্যকলাপ নির্বাচিত সরকারের উপর যে চাপ বাড়াবে, তা বলাইবাহুল্য।
রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ রাঁচির মোরাদাবাদি গ্রামে শপথ নেবেন নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর শপথগ্রহমের মঞ্চ থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মাওবাদী পোস্টারে ওই গ্রামের স্কুল থেকে পুলিশি ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, স্কুল থেকে পুলিশি ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়া হোক। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ হোক।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, স্কুল থেকে পুলিশি ক্যাম্প সরাতেই এই বিস্ফোরণ। সেলদা গ্রামে বেআইনিভাবে পোস্ত চাষ করা হচ্ছে। যার মূল উদ্দেশ্য, আফিম মজুত করা। আর সেই আফিম বাজারে বিক্রি করে মাওবাদী সংগঠনগুলি টাকা রোজগার করবে। কিন্তু এই চাষ রুখতে গ্রামে চলছে পুলিশি অভিযান। স্কুলে তৈরি হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। ফলে পোস্ত বা আফিম চাষ সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুলিশকে সরাতে তৎপর মাও সংগঠনগুলি।
এ প্রসঙ্গে খুঁটির ডিএসপি আশিস মাহালি বলেন, “রবিবার ভোরে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, বিস্ফোরণের পিছনে মাওবাদীদের হাত রয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, এখন আফিম চাষের সময়। এই আফিম বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করে মাও সংগঠনগুলি। গত বছর এই গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দুই কুইন্ট্যাল আফিম উদ্ধার হয়েছিল। এবার তাই আগেভাগে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। পুলিশি নজরজারি চলছে। সেই পুলিশি প্রহরা সরাতেই এই বিস্ফোরণ। প্রসঙ্গত, মাও অধ্যুষিত ছাতড়া জেলার পর খুঁটিতে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.