সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশ টানা হোক কোচিং সেন্টারের রমরমায়। এর জন্য জারি করা হোক নির্দিষ্ট নিয়মাবলী। সম্প্রতি রাজ্য সরকারগুলিকে এমনই পরামর্শ দিল কেন্দ্র সরকার। পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ রুখতেই এমন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
[জানেন কীভাবে, দৈনিক ১০০ জিবি ফ্রি ডেটা পাবেন জিও-তে?
আধুনিক জীবনে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদে হামেশা বাড়তি পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে হয় পড়ুয়াদের। ক্রমাগত চাপের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানসিক অবসাদের শিকার হয় তাঁরা। চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) ২০১৪ সালের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী কেবলমাত্র রাজস্থানের কোটা এলাকায় ৪৭ পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল। প্রসঙ্গত, দেশের টিউশন হাব বলেই পরিচিত এই এলাকা।
[গরু পাচারকারী সন্দেহে রাজস্থানে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন]
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী শুধু কোচিং ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরকারের প্রায় ২৪,০০০ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। কিন্তু এই সেন্টারগুলির উপর পড়ুয়াদের যত নির্ভরতা বেড়েছে, ততই বেড়েছে মাত্রাছাড়া প্রতিযোগিতা। যে তাগিদ চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে পড়ুয়াদের জীবনে। সে কারণেই কোচিং সেন্টারগুলিকে নিয়মে বাঁধার সুপারিশ করেছে ২০১৫ সালে গঠিত হওয়া অশোক মিশ্র কমিটি। এর জন্য ১২টি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে কমিটি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, এমন একটা পরিকাঠামো তৈরি করা যেখানে ছাত্র-ছাত্রী কিংবা তাদের অভিভাবকরা প্রয়োজনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। বিভিন্ন জায়গায় পড়ুয়াদের জন্য কাউন্সেলিং সেন্টার রাখা উচিত। যেখানে স্বীকৃত কাউন্সিলাররা পড়ুয়াদের মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করবে। বহিরাগত পড়ুয়াদের একজন করে স্থানীয় অভিভাবক থাকতে হবে। আবাসিক সেন্টার হলে সেখানে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
[যতটা প্রয়োজন ততটা টাকা মিলছে না এটিএমে, কেন জানেন?]
কেন্দ্রের এই পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন কেরিয়ার পয়েন্টের ডিরেক্টর প্রমোদ মহেশ্বরী। তবে রাশ টানতে গিয়ে যাতে অযথা কোচিং সেন্টার গুলিকে হেনস্তা না করা হয় সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.